পাবনার ঈশ্বরদীস্থ জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের নতুন ভবণের নির্মাণ কাজ গত দুই বছর ধরে ঝুলে আছে। নানা অজুহাতে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভবন হস্তান্তরের শর্তে নির্মাণ কাজের সময় কয়েক দফা বৃদ্ধিও করা হয়। তারপরও বিগত দুই বছরে হয়েছে ভবনের শর্ট কলাম ঢালাই কাজ। এরপর কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদার। এই চরম ঝুঁকি নিয়ে ভগ্নদশাপ্রায় ভবণেই চলছে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ-প্রকল্প পরিচালকের দৈনন্দিন কার্যক্রম। তবে ভবনের কাজ দ্রম্নত শুরু করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এবার কাজ শুরু না করলে দরপত্র (টেন্ডার) বাতিল করে পুনঃদরপত্র আহ্বানসহ ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত রোববার মুঠোফোনে এমন কথায় জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) ডা. হিরন্ময় বিশ্বাস।
ঈশ্বরদীস্থ জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য মতে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এলডিডিটি প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়নে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা ভবণের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল মেসার্স বার্ড কন্সট্রাকশন। গত ২০২২ সালের মার্চের দিকে নির্মাণ কাজ শুরু করে। কাজ শেষ করে ভবনটি কর্তৃপক্ষের কাছে ২০২২ সালের শেষের দিকেই হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু কয়েক মাস ধরে শুধুমাত্র ভবনের শর্ট কলাম করেই পালিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অনেকবার চেষ্টা করেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রকৌশলী আবুল কাশেম সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঈশ্বরদীস্থ জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের দৈনিক হাজিরার অফিস সহকারী আজাহার আলী বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালামাল পাহারাদারের টাকাও দেয়নি। সাব-ঠিকাদারদেরও টাকা না দিয়েই চলে গেছে।
ঈশ্বরদীস্থ জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ-প্রকল্প পরিচালক পদে সদ্য যোগদানকারী ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভবনের কাজের বিষয়ে কোন তথ্যই অফিসে নেই। তাই বিস্তারিত জানি না। তবে শুনেছি কাজটি পুনরায় দরপত্রের মাধ্যমে শুরু করা হবে।
এলডিডিপি উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) ডা. হিরন্ময় বিশ্বাস বলেন, 'বাড কন্সট্রাকশনের ঠিকাদারের কারণে পাঁচটি ভবনের নির্মাণ কাজ নিয়ে ঝামেলায় পড়েছি। তার জন্য আমাদের সুনাম ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। কাজটি পুনঃদরপত্রের মাধ্যমে শুরু করাসহ মেসার্স বাড কন্সট্রাকশনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভুল স্বীকার করে কাজটি শুরু করার লিখিত প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে। আশা করছি এবার কাজটি দ্রম্নতই শেষ করবে।'