বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলাগাড়ী এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের চলাচলের অবহেলিত রাস্তার উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে প্রায় দুই যুগ পর চলাচলের রাস্তা পেয়ে স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে ওই এলাকার হাজারও মানুষের।
জানা গেছে, পৌর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলাগাড়ী এলাকায় প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। প্রায় দুই যুগ ধরে রাস্তাটি অবহেলিত অবস্থায় ছিল, রাস্তাটি দিয়ে ওই এলাকার মানুষ চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিন্তু এই ভোগান্তির অসবান ঘটান পৌর পিতা। জানা যায়, ২০২৩ সালে প্রথম ধাপে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির আংশিক সেলিং নির্মাণকাজ করা হয়। এ বছর দ্বিতীয় ধাপে আরও পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ইট সোলিং করা রাস্তাটি পেয়ে জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।
দীর্ঘদিন পর ইট সোলিংয়ের রাস্তা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পৌর বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির সময় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যেত না। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকাবাসী। অনেকেই কথা দিয়ে কথা রাখেনি। কিন্তু এই অবহেলিত রাস্তা ইট সোলিং করে দিয়ে মেয়র আনিছুর রহমান তার প্রতিশ্রম্নতি রক্ষা করলেন। প্রতিশ্রম্নতি রক্ষার জন্য মেয়রকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
গত রোববার রাস্তাটির দ্বিতীয় ধাপে সোলিং কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আনিছুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর রহমান মিলন, পৌর সহকারী প্রকৌশলি ওসিম কুমার ঠিকাদার মান্নাসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা।
জানতে চাইলে পৌর মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, পৌর এলাকার কালিকাপুর ঘোলাগাড়ী এলাকাবাসী রাস্তার জন্য চরম দুর্ভোগে ছিল। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠত। নতুন আঙ্গিকে রাস্তাটি নির্মিত হলো। নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল, প্রথম ধাপে ২০২৩ রাস্তাটির আংশিক সোলিং কাজ করা। এ বছর দ্বিতীয় ধাপে রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রায় দুই যুগ পর জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে। এলাকাবাসী এখন খুব সহজেই চলাচল করতে পারবে।