উলিপুর স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স

৪১ বছরেও নির্মিত হয়নি শিশু ওয়ার্ড, বারান্দায় চলছে চিকিৎসা

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুর স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা -যাযাদি
১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স। প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পরও নির্মিত হয়নি শিশু ওয়ার্ড। ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মোট জনসংখ্যা প্রায় সাত লাখ। ৫০ শয্যার হাসপাতালে বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক রোগীকে। বারান্দার গ্রিলে টানানো হয়েছে ছেড়া পলিথিন। শীতের কনকনে ঠান্ডায় রোগী ও স্বজনরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। নিরুপায় হয়েই থাকতে হচ্ছে রোগীর সঙ্গে। শিশুদের চিকিৎসার জন্য নেই কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। চিকিৎসা দেন অন্য ডাক্তার ও নার্সরা। নিরুপায় হয়েই অনেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিচ্ছেন তাদের রোগীকে। কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত তিন সপ্তাহে সূর্যের দেখা মেলেনি। দেশের উত্তরের হিমেল হাওয়া আর শীতের তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নিউমোনিয়া, অমাশয় ও ডায়রিয়াজনিত রোগ, যার কারণে বয়স্ক নারী-পুরুষ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৯ দিনে প্রায় চার শতাধিক ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। আক্রান্ত শিশুর মধ্যে রিফাত ১০ মাস, রুহান-৮ মাস, সাব্বির ১৬ মাস, তাদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে রোগী আর আত্মীয়স্বজনের দুর্ভোগের করুন অবস্থা চোখে পড়ে। হাঁচি, কাশি, সর্দি, জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। পৌরসভার রামদাস ধনীরাম গ্রামের আল-আমিন ১৬ মাস, পান্ডুল ইউনিয়নের মিনাবাজার গ্রামের ফাহিয়া জান্নাত এক বছর। উভয়ের মা রওশনা ও আইরিন বেগম বলেন, দুইদিন আগে বমি, জ্বর, পাতলা পায়খানা হলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন, এখন প্রায় সুস্থ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় শয্যা সংখ্যা অপ্রতুল এবং শিশু ওয়ার্ড না থাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মেশকাতুল আবেদ বলেন, রোগীর তুলনায় জনবল কম হওয়ার পরও যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।