কিশোরী অপহরণ মামলায় ১৬ বছর পর গ্রেপ্তার
ছদ্মবেশ নিয়েও শেষ রক্ষা হলো না!
প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
দীর্ঘ ১৬ বছর পর কিশোরী অপহরণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। দীর্ঘ সময় এই আসামি ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।র্ যাবের গোয়েন্দারা ঠিকই তাকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনেছে।
রোববার দিবাগত রাতের্ যাব-২ গোয়েন্দা শাখা সুনির্দিষ্ট তথ্যের সূত্র ধরে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে গ্রেপ্তার হয় মো. মোজাফফর হোসেন (৩৭)। তার পিতার নাম মো. আবুল হোসেন। বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানা এলাকায়।
র্
যাব-২ এর মিডিয়া বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার মোজাফফর কিশোরী অপহরণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ২০০৮ সালে মোজাফফর হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে। পরে ওই কিশোরীকে তারা ঢাকায় আনে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানায় ২০০৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ১৮ নম্বর মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে ওই কিশোরী উদ্ধার হয়।
পরে মামলাটির তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আদালত ওই মামলার রায়ে মোজাফফরকে যাবজ্জীবন করাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
র্
যাবের এই কর্মকর্তা বলছেন, অপহরণ মামলা দায়েরের পর থেকেই ছদ্মবেশ ধারণ করে মোজাফফর। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে ছিল।র্ যাবের গোয়েন্দারাও মোজাফফরকে শনাক্ত করতে লেগেছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর পর মোজাফফরকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পলাতক এই সাজাপ্রাপ্ত আসামি কখনো ফুটপাতের দোকানি, গার্মেন্টসের লেবার, ফেরিওয়ালা, রিকশাচালকসহ নানা পেশার আড়ালে ছদ্মবেশ ধারণ করেছিল।