প্রাথমিক শিক্ষক

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ২৮৫ প্রার্থীকে নিয়োগে রায়

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ২৮৫ প্রার্থীকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক চারটি রিটে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে এই রায় দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। মোহাম্মদ ছিদ্দিক উলস্নাহ মিয়া জানান, রিট আবেদনকারীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, সেখানে প্রতিবন্ধী কোটায় কোনো প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এর ৮ এর ২ বিধিতে বলা হয়েছে, উপ-বিধি (২) এর দফা (গ)-তে উলিস্নখিত মহিলা, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনো বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে ওই কোটা সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩৫ এর ১ এ বলা হয়েছে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও, প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী, উপযোগী কোনো কর্মে নিযুক্ত হতে কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বঞ্চিত বা তার প্রতি বৈষম্য করা বা তাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। সে কারণে ২৮৫ জন প্রার্থী ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টে চারটি রিট মামলা করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ১৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। রুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেওয়া কেন অবৈধ হবে না এবং ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চান আদালত। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ গত ১১ ডিসেম্বর রায়ের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।