বাংলাদেশে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রথম সচিব নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেকপাড়া গ্রামে কাজী আনিসুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ আসর পলাশের ঘোড়াশাল বাজার জাতীয় ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে ঘোড়াশালের টেকপাড়া গ্রামে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে তিনি ঢাকার ইস্কাটনের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিলস্নাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃতু্যর সময় তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্বীয়স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃতু্যতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বাংলাদেশ থ্রোবাল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন, বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন, ফুটবল ফেডারেশন, হ্যান্ডবল ফেডারেশর, কাবাডি ফেডারেশন, শিশু কিশোর সংঘসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
৯২ বছর বয়সী আনিসুর রহমান কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। আনিসুর রহমান স্বাধীনতার আগে থেকেই ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে তিনি ক্রীড়া পরিষদের সচিবের দায়িত্ব নেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রম্নয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ৩১ মার্চ বাংলাদেশ ক্রীড়া সংস্থার (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুর্বতন নাম) আহ্বায়ক এবং ১৯৭৫ সালের ১ ফেব্রম্নয়ারি থেকে ১৯৭৬ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিষদের (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুর্ববতন নাম) সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব ও বিভিন্ন ফেডারেশনে যুক্ত ছিলেন। দেশের অন্যতম প্রাচীন ক্লাব আজাদ স্পোটিংয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও ছিলেন। বাংলাদেশ কাবাডি দলের ম্যানেজারও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের কাবাডিতে ও তার অবদান অনেক।
ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘদিন অবদান রাখার কারণে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৭ সালে। বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির অগ্রজ সম্মাননাও পেয়েছেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও রয়েছে তার।