উত্তরের জেলা লালমনিরহাট প্রতি বছরই শীতকালীন সময় যেন অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়। রোববার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে গিয়ে দেখা যায়, শীতজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এর সঙ্গে বাড়ছে বয়স্কদের নানা শীতজনিত রোগ।
এদিকে ভারতের হিমালয় অঞ্চলের পাশের এলাকা হাতীবান্ধা পাটগ্রাম অঞ্চল হওয়ায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। শীতজনিত রোগে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা অনেক রোগী শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের দেখা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ডা. শাহানা আফরীন জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) বিসিএস (স্বাস্থ্য) এফসিপিএস (শিশু) নামে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নেমপেস্নট একটি কক্ষে লাগানো থাকলেও তার দেখা পাচ্ছে না দূরদূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা শিশু রোগীরা।
মোসলেহা নামে একজন শিশু রোগীর মা জানান, 'আমার ছয় মাসের সন্তানের শীতজনিত রোগ হওয়ায় শিশু বিশেষজ্ঞ না পেয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ারুল হকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়েছি।'
সিন্দুর্না থেকে আসা লতা বেগম জানান, 'আমি দুই দিন এসে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের দেখা না পেয়ে জরুরি বিভাগের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি।' তিনি বলেন, এই হাসপাতালে একজন নিয়মিত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের খুবই প্রয়োজন।
এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ারুল হক জানান, শীত বেশি হওয়ায় প্রতিদিনই শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
জানতে চাইলে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাসানুল জাহিদ জানান, লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় লোকাল অর্ডারে সেখানেই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ডাক্তার শাহানা আফরিন। তবে হাতীবান্ধা হাসপাতালে সপ্তাহে একদিন চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিল, যতদিন সদরে রোগীর সংখ্যা না কমবে ততদিন সেখানেই তিনি থাকবেন।
এ বিষয়ে ডা. শাহানা আফরিন জানান, 'আমি বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার কারণে হাসপাতালে উপস্থিত থাকতে পারিনি। তবে রোববার সদর হাসপাতালে যোগদান করেছি। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সেও নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করব।'