গাজীপুরে কৌশলে ভরাট 'মুন্সীপাড়া পুকুর'
প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর বাজার সংলগ্ন মুন্সীপাড়া এলাকায় সরকারি পুকুরটি দীর্ঘদিন যাবৎ পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় পুকুরের চারপাশ ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি পুকুরের পূর্ব পাশে একটি হোটেল করার লক্ষ্যে (হান্ডি) মাটি ভরাট করে সেখানে সাম্ভাসিবল বসানো হয়েছে। গত তিন বছর আগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পুকুরটি নামমাত্র খনন করে। এরপর থেকে গত তিন বছরে পুকুরটি কচুরিপানা ও মশার রাজ্যে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি পুকুরের দক্ষিণ পাশটি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পরিছন্ন কর্মীরা বাসাবাড়ির ময়লা-আর্বজনা ফেলছে, সেই সঙ্গে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। একদিকে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পুকুরটি ভরাট করছে, অন্যদিকে ভরাটের পর দখলদাররা কৌশলে সেখানে গাছ রোপণ করছে। দিনদিন পুকুরপাড়ের গাছগুলোও বড় হচ্ছে। কোনো একদিন হয়তো ঘুম থেকে উঠে সকালে দেখা যাবে পুকুর পারে দোকান ঘর উঠে গেছে। যদিও জেলার সব পুকুর রক্ষার দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের।
বর্তমান জেলা প্রশাসক শীব মন্দিরের পাশের পুকুরটির দিকে নজর দেওয়ার কারণে পুকুরটির কিছু অংশের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার হয়েছে, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে খোদ শহরের মধ্যেই কয়েকটি পুকুর ভরাট হয়ে সেখানে ঘরবাড়ি, দোকানপাট নির্মাণ করে ভোগ দখল করছেন দখলদার বাহিনী। জয়দেবপুর বাজারের জন্য এই পুকুরটি কত জরুরি তা অগ্নিকান্ডের দুর্ঘটনা ঘটলে বোঝা যায়। পুকুরটি রক্ষায় মুন্সীপাড়ার সাহিদ হোসেন চৌধুরী পুকুরটির দক্ষিণ পাশে ময়লা ফেলা রোধে বার বার নেটের বেড়া দিয়েও রক্ষা করতে পারছেন না।
মুন্সীপাড়া এলাকাবাসীর বক্তব্য, পুকুরটি এলাকার স্থানীয় যুবসমাজদের অথবা এলাকার মসজিদ কমিটিকে সাময়িকভাবে মাছ চাষের জন্য দিলেও সেখানে কোনো দখলদার পক্ষ দখল বা ময়লা-আবর্জনা ফেলতে পারত না। পুকুরটিতে থাকত মাছ, পরিষ্কার পানি, স্বাবলম্বী হতো যুবসমাজ অথবা উন্নয়ন হতো মসজিদের।