শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

মিশ্র ফলের বাগানে সফলতার স্বপ্ন আইনজীবীর

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মিশ্র ফলের বাগানে সফলতার স্বপ্ন আইনজীবীর

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে বিষমুক্ত মিশ্র ফলের বাগান করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাশেদ নেওয়াজ।

জানা যায়, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১৫ বিগা জমির ওপর দেশি-বিদেশি প্রায় বিভিন্ন জাতের ফলদ গাছ লাগিয়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। পেশায় আইনজীবী হলেও কৃষি কাজের প্রতি রয়েছে তার প্রবল আগ্রহ ও চেষ্টা। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কাগজিখোলা গ্রামে নিজ জমিতে কেমিক্যাল মুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল চাষ করেছেন তিনি।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাশেদ নেওয়াজ কক্সবাজার জজ আদালতে আইনি পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। আইন পেশার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে বাড়ির পাশে গড়ে তুলেছেন এ মিশ্র ফল বাগানের চাষ।

আইনজীবী মোহাম্মদ রাসেদ নেওয়াজ জানান, প্রথমে শখের বসে তিনি নিজের বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে মিশ্র ফলের বাগান শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে উপজেলা কৃষি অফিসের দিকনির্দেশনায় বিভিন্ন উন্নত জাতের ফলের চারা নিয়ে নিজের প্রচেষ্টায় সে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলেন। তার বাগানে রয়েছে উন্নত জাতের নারিকেল, আম, লেবু, লিচু, পেয়ারা, তেঁতুল, বেল, উন্নত জাতের কুল, বল সুন্দরি, থাই আপেল কুল, কাশ্মীরি আপেল কুল, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙ্গা, হিম সাগর, ভারী ফোর, বারো মাসি কাটিমোন মেংগু, দার্জিলিং কমলা, মাল্টা, থাই পেয়ারাসহ নানা জাতের মিশ্র ফল গাছ। কয়েক বছর পর তার বাগানে ফলন আসবে। এতে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ আইনজীবী।

সরেজমিন গিয়ে মিশ্র ফল চাষি এডভোকেট মোহাম্মদ রাসেদ নেওয়াজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, 'প্রথমে শখের বসে বিভিন্ন জাতের আপেল কুলের চাষ শুরু করেন, অবসর সময় কাটাতে প্রতি সপ্তাহে বাগানে ছুটে যান। তার লাগানো কুল বিগত বছরগুলোতে ফলনও হয়েছে। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করেছেন। তবে এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ কুল গাছে ফুল আসলেও আশানুরূপ ফলন হয়নি। এতে তার পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান। তারপরও আশা ছাড়েননি তিনি। বর্তমানে তার বাগানে নিয়মিত ও অনিয়মিত ১০ জন শ্রকিকের কর্ম সংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, মিশ্র ফলচাষি অ্যাডভোকেট রাশেদ নেওয়াজকে আমরা নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া ওই বাগান পরিদর্শনও করা হয়েছে। আমাদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে