পরিবেশবাদী সংগঠন 'ধরা'র আত্মপ্রকাশ

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন 'ধরিত্রী রক্ষায় আমরা' (ধরা)। রাশেদা কে চৌধুরী নতুন এই সংগঠনের আহ্বায়ক। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কে জানানো হয়। সংগঠনের সদস্য সচিব করা হয় ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরিফ জামিলকে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শরিফ জামিল বলেন, 'পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। জনগণের জীবন-জীবিকার ক্ষতি, ব-দ্বীপ বাস্তুসংস্থানের ধ্বংস সাধন, তীব্র পানি ও বায়ুদূষণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের বাস্তুচু্যতি, লবণাক্ততা, সুপেয় পানির সংকট, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় মানুষ ও সংগঠনগুলোর সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যেই আমাদের সংগঠন 'ধরা'র আত্মপ্রকাশ হচ্ছে।' সংবাদ সম্মেলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, 'আমরা কেউই পরিবেশ নিয়ে একা কিছু করতে পারি না। সেই জায়গা থেকেই আমরা সংগঠন করেছি। আমি অনেক শক্ত কথা বলে থাকি। কারণ, আমার পেছনে অনেক মুখ আছে যারা কথা বলে, আমাকে সাহস দেয়। এই জন্য আমরা সবাই মিলিত হয়েই কথা বলি। আমাদের এই সংগঠন সেভাবে এগিয়ে যাবে।' বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পস্ন্যানার্সের প্রেসিডেন্ট ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ''আমরা এমন একটা সময়ে আছি, যেখানে উন্নয়ন এবং পরিবেশকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। আমরা বৈশ্বিকভাবে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কথা বলি। আবার আমরা নদী ধ্বংস করি, বন ধ্বংস করি। এখন পরিবেশ রক্ষায় আইন থাকলেও সেগুলো মানা হয় না। সবাই এখন চাইলেই পরিবেশ নিয়ে কথা বলতে পারি না। আমরা এখন 'ধরা'র মাধ্যমে পৃথিবী রক্ষার কথা বলবো।'' এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- রোমান ক্যাথলিক চার্চ আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি'ক্রুজ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ব্রতী'র প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশিদ প্রমুখ।