অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে 'দর কষাকষিতেই' মারা গেল শিশু
প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স থেকে রেফার্ড করা নবজাতককে ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা গেল সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতক। পরিবারের অভিযোগ, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে চালকের সঙ্গে দর কষাকষি করে সময় ক্ষেপণের পর দেখেন, নবজাতকটি আর বেঁচে নেই। এমন ঘটনায় বিচার দাবি করেন পরিবারটি।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করেন সুমাইয়া আক্তার। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব হওয়ায় নানা সমস্যার কথা উলেস্নখ করে প্রি ম্যাচিউর লিখে উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতকের রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।
ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নরমাল ডেলিভারি হয়। এরপর থেকেই শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা দেখা দেয় নবজাতকের। এ কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে রেফার্ড করেন। পরে দিনমজুর মনির মিয়া ধারদেনা করে টাকা জোগাড় করে রাত ১০টায় অ্যাম্বুলেন্স চালককে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করে সাক্ষাত পান চালকের। পরে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১২৫০ টাকা থাকলেও চালক ২৫০০ টাকা দাবি করায় রাত ১২টা পর্যন্ত চলে ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি। একপর্যায়ে ১৭০০ টাকায় নবজাতক নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি হন চালক। তবে এরই মধ্যে তারা দেখেন, নবজাতকটি আর বেঁচে নেই।
জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাত হোসেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়িচালক। গত প্রায় দুই বছর ধরে গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছেন। যে কারণে মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগে প্রতিনিয়ত তার ইচ্ছামত ভাড়া আদায় নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন জনের।
দর কষাকষির কথা স্বীকার করে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাত হোসেন জানান, তিনি জিপ গাড়িচালক। এরপরও অ্যাম্বুলেন্স চালান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোছাম্মৎ জেবুন্নেসা বলেন, ময়মনসিংহে রেফাড করার পরও তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে নিয়ে যায়নি। তবে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি আরও বলেন, চালকের দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।