আজমিরীগঞ্জে মাধ্যমিকে ভর্তি জটিলতায় হাজারো শিক্ষার্থী

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি জটিলতায় পড়েছে ৯টি এমপিওভুক্ত ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। ফলে শিক্ষা জীবনের এ পর্যায়ে এসে ছাত্রছাত্রীদের ঝরে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ের এক শাখায় ৫৫ জন এবং দু'টি শাখায় ১১০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আজমিরীগঞ্জের প্রতিটি বিদ্যালয়ে গড়ে আবেদন জমা পড়েছে তিনশ'র বেশি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি শাখায় ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। কিন্তু প্রতিটি বিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন জমা পড়েছে কয়েকশ'। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছর প্রতিটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শাখাপ্রতি ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু প্রতিটি বিদ্যালয়ে গড়ে ভর্তি আবেদন জমা পড়েছে দুই শতাধিক। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী আবেদন করেনি প্রয়োজনীয় তথ্য না জানার কারণেও। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। এ কারণে যদি হাওড়াঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পায় তাহলে অধিকাংশই ঝরে যাবে বলে বিজ্ঞজনেরা বলছেন। এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাইফুল ইসলাম বলেন, 'আমার মেয়েকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এখনো ভর্তি কার্যক্রম শুরু না হওয়ার ফলে চিন্তায় আছি।' অভিভাবক রিজভী আক্তার বলেন, 'মেয়েকে ভর্তি করানোর জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়নি। যদি আসন সংখ্যা হিসেবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়, তবে অনেক শিক্ষার্থী বাদ পড়বে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।' শাকিব মিয়া বলেন, প্রয়োজনীয় তথ্য জানা না থাকায় ভর্তির জন্য আবেদন করা হয়নি। এখন কীভাবে ছোট বোনকে ভর্তি করবেন বুঝতে পারছেন না। জলসুখা কৃষ্ণ গোবিন্দ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও পাহাড়পুর বসন্ত কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র দাস জানান, আসন সংখ্যার বিপরীতে তাদের প্রতিষ্ঠানে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় তিন গুণ। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় পাহাড়পুরে আবেদন করেননি এমন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যাও শতাধিক। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। শিক্ষার্থী ভর্তি না হতে পারলে ঝরে পড়ার শঙ্কা থাকে।'