রাজশাহীর বাগমারায় একই রাতে একটি দীঘিসহ চারটি পুকুর ও একটি বিলের প্রায় কোটি টাকার মাছ লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার রাতে ওই পুকুর ও বিলে বিষ দিয়ে লুট করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের পারিলা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মৎস্যচাষি আব্দুল মতিন এবং হাটগাঙ্গোপাড়া গ্রামের কছিমুদ্দিনের ছেলে আল আমিন ইসলাম আশিক পারিলা কোড়ল বিল, হাটগাঙ্গোপাড়া সিনেমা হলের পূর্ব পাশে ও মঙ্গলপুর গ্রামের দাদা ভাই নামে দুটি পুকুর ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে মাছচাষ করে আসছেন।
রোববার গভীর রাতে ওই দুটি পুকুরে ও বিলের পানিতে বিষ ঢেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিষক্রিয়ায় চাষকৃত রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকাপ, জাপানী রুই, কালবাউস ও গ্রাসকাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির চাষকৃত সব মাছ মরে পানিতে ভেসে ওঠে। এতে মৎস্যচাষি আব্দুল মতিন ও আল আমিন ইসলাম আশিকের প্রায় ৭০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
এদিকে, একই রাতে উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাছ ব্যবসায়ী মোকসেদ আলীর পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা পোনা মাছ মেরে ফেলে। সকালে গ্রামের লোকজন ওই পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তাহেরপুর তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই হাবিবুর রহমান তদন্ত করেছেন।
এ ছাড়াও পরের দিন রাতে তার লিজ নেওয়া সপসার দীঘিতে মাছ লুট করার জন্য জাল নিয়ে আসে দুর্বৃত্তরা। তবে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তার মাছ রক্ষা করে। ওই দীঘিতে তার প্রায় ৬০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে।
মাছ ব্যবসায়ী মোকসেদ আলী বলেন, প্রথম দিন পুলিশ এসে মাছ রক্ষা করলেও তারা হুমকি দিচ্ছে। যে কোনো সময় তারা পুকুরের মাছ লুট করে নিতে পারে। এ ছাড়াও সেখানে তার একটি মুরগির খামার রয়েছে। সেই খামারের মুরগিও লুট করার হুমকি দিচ্ছে তারা। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
এ ছাড়াও একই রাতে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সমসপাড়া দীঘিতে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ লুট করা হয়। রোববার রাতে দুর্বৃত্তরা জাল ফেলে মাছ লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান দীঘির ইজারাদার বাচ্চু আলী।
বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, এটি একটি অমানবিক ঘটনা। এই ঘটনায় কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।