দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির বিরোধীতা করায় জেলার তিন নেতাকে দলের সব রকম পদ ও কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া তিন নেতা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার কাউন্সিলর ওমর ফারুক ওরফে জীবন এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক।
সদ্য-সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন- সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করা ফিরোজুর রহমান-(কাঁচি প্রতীক)।
অব্যাহতি পাওয়া শেখ ওমর ফারুক স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ছেলে ও নির্বাচনে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও কাউন্সিলর ওমর ফারুক জীবন প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা করেছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজের পক্ষে কাজ করেন।
নির্বাচনে মোকতাদির চৌধুরী নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফিরোজুর রহমান পান ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট।
নির্বাচনের পর গত সোমবার সন্ধ্যায় শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী এমপি। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের তিনজনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, তিনজনকে বহিষ্কারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কোনো দায়িত্বশীল নেতাকর্মী নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারেন না। সোমবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাদের দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠানো হয়।'