চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, 'যারা দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলীয় প্রতীক নৌকাকে ডোবাতে প্রকাশ্যে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে, ইতিহাসে তাদের নাম মীরজাফরের পাশাপাশি লেখা থাকবে। আওয়ামী লীগ তাদের মুখোশ লাগানো চেহারা চিনে গেছে। সে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা ঐক্যবদ্ধ।'
মঙ্গলবার সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে টানা চতুর্থবার নির্বাচিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফকে স্বাগত জানাতে গিয়ে মেয়র এসব কথা বলেন।
এ সময় নবনির্বাচিত সাংসদ এম আবদুল লতিফ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে মহানগর আওয়ামী লীগের আপনারা যারা আমার জন্য মাঠে নেমে কাজ করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারা প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা করেছে তার সব তথ্য প্রমাণাদি ছবিসহ নেত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নিয়ে ভবিষ্যতে কাউকে ছিনিমিনি করতে দেওয়া হবে না। দেশের মানুষের জীবন মানোন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনকল্যাণমূলক গৃহীত কর্মসূচি আমার আসনের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমি পরিকল্পনা সাজিয়ে কাজ করে যাব।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুখ, আইন-বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দীন ইকবাল, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, উপ-দপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর শহীদুল আলম, উপ-দপ্তর সম্পাদক, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সদস্য, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খান।