দেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য আজিজুল
প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ২৯৮ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে বয়সে সবার ছোট আজিজুল ইসলাম। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন।
আজিজুল ইসলামের বয়স ২৮ বছর। যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসন থেকে তিনি বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আজিজুল ৯ হাজার ৬৭৮ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান এমপি শাহীন চাকলাদার।
সূত্রমতে, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে তুলনামূলক কম বয়সে এমপি নির্বাচিত হয়ে অনেকেই আলোচনায় এসেছেন। বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ২৯ বছর বয়সে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হয়ে সারাদেশে আলোচনায় এসেছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিলের ছেলে নিজামউদ্দিন জলিল জন ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। ওইসময় তার বয়স ছিল ২৭ বছর। আর সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে বেসরকারিভাবে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের মধ্যে আজিজুল হক সর্বকনিষ্ঠ। তিনি কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপচারিতায় তরুণদের উদ্দেশে ইতিবাচক রাজনীতির ইঙ্গিত দেন এই তরুণ হবু আইনপ্রণেতা।
আজিজুল ইসলাম বলেন, 'জয়ের ব্যাপারে আমার শতভাগ বিশ্বাস ছিল, তবে পারিপার্শ্বিক নানা কারণে ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ফল ঘোষণার পরে বুঝতে পারছি মানুষ আমাকে কত বড় সম্মান দিল। আর সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ভোটের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।'
এজন্য তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি নিজ নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের প্রতি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তাদের ও গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, 'কেশবপুরবাসীকে ধন্যবাদ যে, আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। প্রকৃত ভোটাধিকার পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার অনুভূতিটা চমৎকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক প্রবীণ পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন, বড় ভাইয়েরা ফের নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে অবশ্যই আমার মতো তরুণরা উনাদের কাছ থেকে শিখবেন, তারপর আস্তে আস্তে আমরা আমাদের পস্ন্যাটফর্মে পৌঁছাব।'
আজিজুল বলেন, 'তরুণদের প্রতি আমার একটা বিশেষ নজর থাকবে, আমরা যেন তাদের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে পারি। নিজ নির্বাচনী এলাকা কেশবপুরের বড় কাজ সাধারণ ভোটারদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা, তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করা, এলাকার উন্নয়ন করা, যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখা। এসব বিষয়ে আমি স্থানীয় রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সুশীলসমাজ, গণমাধ্যমকর্মী, সাংস্কৃতিককর্মীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখব। আমি চাই নতুন নতুন উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে কেশবপুর উপজেলাকে উন্নত এলাকায় পরিণত করা।'