বিরোধী দলের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য স্বতন্ত্রদের যথেষ্ট আসন আছে

সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন -সংগৃহীত
বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন প্রয়োজন উলেস্নখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এক্ষেত্রে স্বতন্ত্রদের যথেষ্ট আসন রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের একটি মোর্চা হতে পারে কি না, 'সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কেন হতে পারবে না? স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন, তারা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজেরা একটা মোর্চা করবেন, অবশ্যই তারা সেটি করতে পারবেন। তখন বিরোধী দল হিসেবে কাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটি জানা যাবে।' তিনি বলেন, 'কিন্তু আমার মনে হয়, বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন প্রয়োজন। স্বতন্ত্রদের যথেষ্ট আসন আছে। ৬২টি আসনে তারা বিজয়ী হয়েছেন।' তিনি আরও বলেন, 'আমার মনে হয়, বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য আপনাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। কাল শপথ নেওয়ার পরে স্বতন্ত্রদের অবস্থান কী হবে, তারা নিশ্চয়ই জানাবেন। তাদের অবস্থান ঘোষিত হওয়ার পরেই বিরোধী দল কারা হবে, সেটি আপনারা বুঝতে পারবেন।' স্বতন্ত্ররাও তো আওয়ামী লীগের। তাহলে বিরোধী দলও কি একই দলের হয়ে গেল না, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'যারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগ হিসেবে নির্বাচিত হননি, তাদের প্রতীকও ছিল ভিন্ন। নৌকা মার্কায় কেবল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। কাজেই স্বতন্ত্ররা আওয়ামী লীগের, এটা মুখের কথা হতে পারে, কিন্তু আইনের কথা বা বাস্তবতার কথা সেটি না।' 'তারা স্বতন্ত্র হয়ে বিজয়ী হয়ে যে স্বাধীনতা আছে, তারা যদি মনে করেন একটা মোর্চা করবেন... তখন বিরোধী দল কারা হবে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।' কিন্তু জাতীয় পার্টি তো একটা বিরোধী দল, এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, 'আমি জানি তারা ১১টি আসন পেয়েছে।' বিরোধী দল হতে হলে কতটি আসন পেতে হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'একটা আসন সংখ্যা আছে। তবে সেটি এখন বলতে পারছি না।' আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'সংসদ সদস্যরা কাল শপথ নেবেন। আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা ও পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতি তাকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন। তারপর নতুন সরকার গঠন হয়ে যাবে। নতুন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত গঠিত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করবে।' তিনি বলেন, 'এ জন্য কোনো সময়সীমা নেই। কিন্তু রীতি হিসেবে, শপথ নেওয়ার পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে নতুন সরকার ঘোষিত হয় ও শপথ নেয়। আমার মনে হয়, সেভাবেই এবারও তাই হবে। এটা আমার ধারণা। তবে দিনক্ষণ আমি বলতে পারব না। প্রথমে নির্বাচন কমিশন নতুন সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ করবে। তারপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শপথ নিতে হবে এমপিদের।'