মধ্যনগরে ৫১২ ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তার যাতায়াত ভাতা আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণকারী ৫১২ জন কর্মকর্তা তাদের প্রাপ্য ২ হাজার টাকা করে পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রিজাইর্ডিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ইউএনও'র নির্দেশে তারা মাস্টাররোলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নিলেও তাদের সেই টাকা দেওয়া হয়নি। এতে করে ওই কর্মকর্তাদের প্রাপ্য ১০ লাখ ২৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গত রোববার মধ্যনগর উপজেলার ২৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইসব কেন্দ্রে ২৬ জন প্রিজাইডিং, ১৬৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ৩১৭ জনসহ পোলিং কর্মকর্তাসহ মোট ৫১২ জন দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব দায়িত্ব পালনের জন্য প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১২ হাজার, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৯ হাজার ও পোলিং কর্মকর্তা ৬ হাজার টাকাসহ যাতায়াত ভাতা বাবদ জনপ্রতি আরও ২ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু অন্য ভাতার টাকা ঠিকমতো দিলেও ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতিশ দর্শী চাকমা ভোট গ্রহণকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যাতায়াত ভাতার টাকা বিতরণের মাস্টাররোলে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। কিন্তু বাঁকাতলা ও মাটিয়ারবন্দ কেন্দ্রের কেউ এতে স্বাক্ষর করেননি। পাশের ধর্মপাশা উপজেলার ৪০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দৈনিক ভাতার পাশাপাশি ২ হাজার টাকা করে যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হয়েছে- এমনটি জানাজানি হলে মধ্যনগরের ২৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। আলমপুর দোয়াদুর রহমান কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, 'ইউএনও অফিসের একজন পিয়ন কেন্দ্রে গিয়ে ইউএনও'র সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দিলে ইউএনও আমাকে সবার স্বাক্ষর নিতে বলেন। স্বাক্ষর নিলেও কেউ টাকা পাইনি।' মধ্যনগর ইউএনও অতিশ দর্শী চাকমা বলেন, 'আমার স্টাফ ভুল করে ভাউচারে স্বাক্ষর নিয়েছে। যেভাবে বরাদ্দ এসেছে সেভাবে দেওয়া হবে।'