এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিয়ম অনুযায়ী ভোট না পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন অধিকাংশ প্রার্থী। নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত সর্বমোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ বা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থীই ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট-
কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার চারটি আসনে মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির তিনজন, স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনজন, তৃণমূল বিএনপির একজন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একজনসহ ১৯ জনই জামানত হারাচ্ছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ জন। প্রার্থী ছিলেন ৭ জন, এর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারাচ্ছেন। ১৫৮ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে এক লাখ ৪০ হাজার ৬১৩টি। এ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মো. ইব্রাহিম ৮১ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে জামানত হারাচ্ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম (প্রাপ্ত ভোট ৫৩৭), জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (প্রাপ্ত ভোট ৭৭৩), বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ৬৯১), স্বতন্ত্র প্রার্থী (জাফর আলমের ছেলে) তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন (প্রাপ্ত ভোট ২৪৪), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামর উদ্দীন (প্রাপ্ত ভোট ১৮০)।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২৭জন। প্রার্থী ছিলেন ৬ জন, এর মধ্যে ৪ জনই জামানত হারাচ্ছেন। ১১৮ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৮টি। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশেক উলস্নাহ রফিক ৯৭ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে জামানত হারাচ্ছেন ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ইউনুস (প্রাপ্ত ভোট ২৭৬), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ'র মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ২২৪), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মোহাম্মদ খায়রুল আমিন (প্রাপ্ত ভোট ১৬০), বাংলাদেশ ন্যাশালিস্ট পার্টির (এনপিপি) মাহবুবুল আলম (১৪৮)।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০। প্রার্থী ছিলেন ৬ জন, এর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ১৭৬ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৭টি। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। একই আসনে জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক (প্রাপ্ত ভোট ১,৩৭১), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন (৯৮৮), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) শামীম আহসান ভুলু (প্রাপ্ত ভোট ৫০৫), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম (প্রাপ্ত ভোট ২৬৮)।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬১০। প্রার্থী ছিলেন ৭ জন, এর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ১৭৬ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৭টি। এ আসনে আওয়ামী লীগের শাহিন আকতার ১ লাখ ২২ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো (প্রাপ্ত ভোট ১,৭৫৮), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদ আলম (প্রাপ্ত ভোট ৩২৭), তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব (প্রাপ্ত ভোট (২৪৬), ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ৮২৫) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইল (প্রাপ্ত ভোট ২৪৭)।
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন ২০ জন। আর এই তালিকায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়াও বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসা বিএনএম নামক সংগঠনের মহাসচিবও রয়েছেন।
এর মধ্যে জামানত হারানো সবচেয়ে আলোচিত দুই ব্যক্তি হচ্ছেন চাঁদপুর-৫ আসন থেকে চেয়ার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মুজাদ্দেদী এবং চাঁদপুর-৪ আসন থেকে নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান।
তথ্য মতে, চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. সেলিম প্রধান চেয়ার প্রতীক ৫৭৭৯ ভোট এবং জাসদের সাইফুল ইসলাম মশাল প্রতীক ৩৮২১ ভোট পেয়ে জামানাত হারালেন। এই আসনে প্রদত্ত ভোট হাচ্ছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬১৮টি। এই আসনে বিজয়ী ড. সেলিম মাহমুদ নৌকা নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৩০৭ ভোট।
চাঁদপুর-২ মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ আসনে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৩৫ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলার সভাপতি এমরান হোসেন মিয়া লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন ১২৬৫ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পর্টির মনির হোসেন একতারা প্রতীক পেয়েছেন ৯৫৮ ভোট এবং জাসদের হাছান আলী সিকদার মশাল প্রতীক পেয়েছেন ৫৮৭ ভোট। এরা প্রত্যেকেই এবার নির্বাচনে এসে জামানত হারালেন। কেননা এই আসনে মোট প্রদত্ত মোট ভোট হচ্ছে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৬টি। এই আসনে বিজয়ী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৯ ভোট।
চাঁদপুর-৩ সদর ও হাইমচর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেদওয়ান খান ট্রাক প্রতীক পেয়েছেন এক হাজার ২২৮ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মহসীন খান লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন ৮২৮ ভোট, জাকের পার্টির মো. কাওছার মোলস্না গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজান ৪৩৭ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী আবু জাফন মো. মাঈনুদ্দিন মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩৩ ভোট এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ফুলেরমালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪৩ ভোট। এরাও নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন। কারণ এই আসনে মোট প্রদত্ত ভোট সংখ্যা হাচ্ছে এক লাখ ৪০ হাজার ২৪২টি। আসনটিতে বিজয়ী ডা. দীপু মনি নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডক্টর মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া ঈগল প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম প্রার্থী ড. মো. শাহজাহান নোঙ্গর প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৭৪ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজ্জাদ রশিদ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯০ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন প্রার্থী বাকী বিলস্নাহ মিশকাত চৌধুরী ফুলেরমালা প্রতীকে পেয়েছেন ২০১ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির প্রার্থী আবদুল গণি আম প্রতীকে পেয়েছেন ২০৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী মো. আবদুল কাদির তালুকদার সোনালীি আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬০ ভোট। এরাও সবাই নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন।
চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মুজাদ্দেদী চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪৪ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ প্রার্থী মো. মনির হোসেন মজুমদার মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮০ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন প্রার্থী বাকী বিলস্নাহ মিশকাত চৌধুরী ফুলের মালা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫৬ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট প্রার্থী আক্তার হোসেন ছড়ি প্রতীকে ১৩৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে মোট প্রদত্ত ভোট সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯১টি।
লক্ষ্ণীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্ণীপুরের চারটি সংসদীয় আসনে এবার প্রার্থী হয়েছেন ৩১ জন। এদের মধ্যে ২৪ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এদের মধ্যে জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। এলাকায় অনেকটা অপরিচিত হওয়ায় ভোটার টানতে পারেননি তারা।
জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্ণীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন। ভোটের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের ড. আনোয়ার হোসেন খান পেয়েছেন ৪০ হাজার ৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা ঈগল প্রতীকের হাবিবুর রহমান পবন পেয়েছেন ১৮,১৫৬ ভোট। বাকি চার প্রার্থীর কেউই হাজারের কাছাকাছিও ভোট পাননি।
জাতীয় পার্টির মাহামুদুর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৭৬৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ গোফরান কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪০ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিয়াজ মাখলুম ফারুকী মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৪১০ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশাররফ হোসেন আম প্রতীকে ২৭৬ ভেট পেয়েছেন। ফলে এ চারজন জামানত হারাচ্ছেন।
জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি প্রার্থী হয়েছে লক্ষ্ণীপুর-২ আসনে। আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি ছাড়াও আরও ৮টি রাজনৈতিক দল এ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। স্বতন্ত্রসহ সব মিলিয়ে প্রার্থী ছিল ১৩ জন। যদিও প্রার্থীদের অনেককেই এলাকার লোকজন চিনতেন না। শুধুমাত্র তিনজন প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা ছিল। ভোটের ফলাফলে ১২ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীকে ৯ হাজার ২৮ ভোট পেয়েছেন। ফলে সংরক্ষিত নারী এ সংসদ সদস্য জামানত হারাবেন। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু ২৩৮৬, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের এফএম জসিম উদ্দিন ৯০৩, বিজয়ী নয়নের সহধর্মিণী স্বতন্ত্র প্রার্থী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা তরমুজ প্রতীকে ৩৪৫, জাসদের আমির হোসেন মশাল প্রতীকে ২৩৯, তৃণমূল বিএনপির আব্দুলস্নাহ্ আল মাসুদ সোনালী আঁশ প্রতীকে ৩২০, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জহির হোসেন একতারা প্রতীকে ৩৫২, বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের মনসুর রহমান দাদন গাজী ডাব প্রতীকে ৮৮, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোরশেদ আলম চেয়ার প্রতীকে ৫৪৫, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম মোমবাতি প্রতীকে ৬০১, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ফরহাদ মিয়া হাত ঘড়ি প্রতীকে ৩২৮, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ইমাম উদ্দিন সুমন ছড়ি প্রতীকে ৭১ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন।
লক্ষ্ণীপুর-৩ (সদর) আসনে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন প্রার্থী জামানত হারাবেন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু ভোট পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৯৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ সাত্তার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬২৮ ভোট।
কিন্তু বাকি চার প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মোহাম্মদ রাকিব হোসেন ৪৭৩, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মাহাবুবুল করিম টিপু হাতুড়ি প্রতীকে ১১৫, তৃণমূল বিএনপির মো. নাইম হাসান সোনালি আঁশ প্রতীকে ২৮৯, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আবদুর রহিম কাঁঠাল প্রতীকে ৩৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন।
লক্ষ্ণীপুর-৪ আসনে প্রার্থী হলেন ৬ জন। এদের মধ্যে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আবদুলস্নাহ আল মামুন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৭২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের মোশারফ হোসেন নৌকা প্রতীকে ৩৩ হাজার ৮১০ ভোট পান। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইস্কান্দার মির্জা শামীম পেয়েছেন ৭৪৭৪ ভোট, বিজয়ী প্রার্থী আবদুলস্নাহর সহধর্মিণী মাহমুদা বেগম তবলা প্রতীকে ৩৫৫, সুপ্রিম পার্টির মো. সোলাইমান একতারা প্রতীকে ৩২০, আবদুস সাত্তার পলোয়ান রকেট প্রতীকে ৬৪৯ ভোট পেয়েছেন। এ চারজন জামানত হারাচ্ছেন।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, জয়পুরহাটের ২টি আসনে প্রার্থী ছিলেন ১৫ জন। এর মধ্যে ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আসনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন, এর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ জন। ১৫১টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে এক লাখ ৬৩ হাজার ৯০০টি। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী একেএম রায়হান মন্ডল মনু, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন, ন্যাশন্যাল পিপলস পাটির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. রুকুনুজ্জামান, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী মো. মাসুম।
আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ আসনে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৬ জন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আবু সাইদ নুরুলস্নাহ, স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আতোয়ার রহমান মন্ডল, ন্যাশলাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী আবু সাঈদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মশাল প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক সরদার এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী মো. নয়ন।
আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, পাবনা-৪ আসনে ৬ প্রার্থীর মধ্যে সব মিলিয়ে ভোট পড়েছে এক লাখ ৯৬ হাজার ৩১১টি। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী একাই পেয়েছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৩টি ভোট। এই আসনে ভোট পড়ার হার প্রায় ৪৯ ভাগ। ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৫ প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন।
এখানে নৌকার প্রার্থীর ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৩ ভোট, স্বতন্ত্র পাঞ্জাব বিশ্বাসের ঈগল প্রতীকে ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট, জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম লাঙ্গলে পেয়েছেন এক হাজার ৫৫৩ ভোট, জাসদের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মশালে পেয়েছেন এক হজার ৬০ ভোট, কৃষক শ্রমিক লীগ জনতা লীগের আতাউল হাসান গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৮২৬ ভোট, বিএনএফ'র আম প্রতীকের মনসুর আলী পেয়েছেন ৭৮৭ ভোট। এই আসনে ভোটের হার প্রায় ৪৯ ভাগ।
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারালেন তিনজন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত ছড়ি প্রতীকের আহমদ শফী ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফতাব উদ্দিন। সোমবার বিকালে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি সংসদীয় আসনে ৯ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব ছাড়া বাকি ৭ জনই জামানত হারাচ্ছেন। গত রোববার ভোটগ্রহণ শেষে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হকের ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
এ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত ৭ জন হলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম (চেয়ার)। তিনি পেয়েছেন ৫২৬ ভোট। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ হামিদ উলস্নাহ (মোমবাতি) পেয়েছেন ১ হাজার ৫৩৮ ভোট, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শফিউল আজম (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৫১, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান (ঈগল) পেয়েছেন ২ হাজার ২৬১, স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (ফুলকপি) পেয়েছেন ৩১১, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারি (একতারা) পেয়েছেন ৩১৫১ ভোট। নির্বাচনের দুই দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি (ফুলের মালা) পেয়েছেন ২৩১ ভোট।
গফরগাঁও (ময়মনসিং) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহ-১০ আসনে নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি ২ লাখ ৯ হাজার ৩৭৪ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদষ্টো মোহাম্মদ আবুল হোসেন। ভোটের বিপুল ব্যবধানের কারণে মোহাম্মদ আবুল হোসেনসহ এ আসনে ৪ প্রার্থীর জামানত বাতিল হচ্ছে। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি পেয়েছেন দুই লাখ ১৬ হাজার ৮৯৩ ভোট। ঘোষিত ফল অনুযায়ী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল হোসেন পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৯ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাজমুল হক (লাঙ্গল) ৪ হাজার ২৭৬, স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার আহমেদ (ঈগল প্রতীক) ৩ হাজার ২৫০ এবং গণফ্রন্টের দ্বীন ইসলাম (মাছ প্রতীক) ৩ হাজার ৯৩ ভোট পেয়েছেন। এক্ষেত্রে ৪ জন প্রার্থীর জামানত বাতিল হচ্ছে।
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি জানান, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নৌকার মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম রাব্বানী। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে অংশগ্রহণ করেন। এই দুই প্রার্থী ছাড়া বাকি ৯ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকা সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীও জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩টি। মাহী পেয়েছেন ৯ হাজার ৯টি ভোট। ফলে তিনি জামানত ফিরে পাবেন না।
এ ছাড়া জামানত ফিরে পাবেন না এনপিপির নুরুন্নেসা। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২৯৬টি। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বশির আহমেদ মোট ভোট পেয়েছেন ৩৩৫টি। তিনিও জামানত ফিরে পাবেন না। বিএনএফের আল সাআদ ৬০৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। তৃণমূল বিএনপির জামাল খান দুদু ভোট পেয়েছেন ২৭৩টি। ফলে তিনিও রয়েছেন জামানত হারানোর তালিকায়। বিএনএমের মো. শামসুজ্জোহা পেয়েছেন ১৯১১টি। তিনিও হারাচ্ছেন জামানত। জাতীয় পার্টির মো. শামসুদ্দীন মোট ভোট পেয়েছেন ৯৩৮টি। তিনিও জামানত হারাচ্ছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়াও হারাচ্ছেন জামানত। তিনি ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৮। ফারুক চৌধুরীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের গোলাম রাব্বানীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান। তবে প্রতীক থেকে যাওয়ায় ভোট পেয়েছেন ২০২ ভোট। ফলে তিনিও জামানত হারিয়েছেন।
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫৮ নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭ জন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। মোট ভোটারের ২৫ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় এসব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নাটোর জেলা শাখার সভাপতি, উত্তরবঙ্গ আখচাষি সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিল (হাতুড়ি) পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৩০ ভোট; আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. রমজান আলী সরকার (কাঁচি) পেয়েছেন ২ হাজার ৬১৪ ভোট; জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার মো. আশিক হোসেন (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬ ভোট; আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজল রায় (ঢেঁকি) পেয়েছেন ১ হাজার ১৩৬ ভোট; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের (ইনু) ইঞ্জিনিয়ার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (মশাল) পেয়েছেন ৮১৭ ভোট; জাসদ স্বতন্ত্র মো. জামাল উদ্দিন ফারুক (ট্রাক) পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো. লিয়াকত আলী (একতারা) পেয়েছেন ৪৫১ ভোট।
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ৩ জন। তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ি আসনে সাজ্জাদুল হাসান নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৮৮ হাজার ৬৮ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লিয়াকত আলী খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৯ ভোট, জাসদ মনোনীত মুশফিকুর রহমান মশাল নিয়ে পেয়েছেন ৬৩৪ ভোট, তৃণমূল বিএনপির আল মামুন পেয়েছেন এক হাজার ৭১৫ ভোট। এ আসনে মোট ভোটার এক লাখ ৯৬ হাজার ১৭৬।
তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্না-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনে ৮ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৬ জন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫১৬ ভোট। যার মধ্যে প্রাপ্ত ভোট ছিল এক লাখ ৮৮ হাজার ৮১৫। জামানত টিকিয়ে রাখতে প্রত্যেকের প্রয়োজন ২৩ হাজার ৬০১ ভোট।
৮ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন তাদের জামানত হারিয়েছে। এরা হলেন- জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মোহাম্মদ আমির হোসেন (৩ হাজার ৯২৫), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মশাল প্রতীকের বড়ুয়া মনোজিত ধীমন (২৬৫), ইসলামী ঐক্যজোট মিনার প্রতীকের মাওলানা মো. নাছির উদ্দিন (৬৩৯), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ছড়ি প্রতীকের মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (১৯৮), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ফুলের মালা প্রতীকের মো. জাকির হোসেন (১৪৬) এবং তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের সুলতান জিসান উদ্দিন (২৩১)।