শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

নিরঙ্কুশ জয়ের উৎসবের আমেজ আওয়ামী লীগের

দ্বাদশ সংসদ নির্র্বাচনে নতুন রেকর্ড টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আ'লীগ
স্বদেশ ডেস্ক
  ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
নিরঙ্কুশ জয়ের উৎসবের আমেজ আওয়ামী লীগের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে ২২৩টিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এর মাধ্যমে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি, যা বাংলাদেশে নির্বাচনের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। রোববার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ৬৩টি আসনে জয়ী হয়ে নতুন চমক সৃষ্টি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ১১টি আসনে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ওয়ার্কার্স পার্টি একটি ও কল্যাণ পার্টি একটি আসন পেয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফলে জাতীয় পার্টি তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও দলগত বিবেচনায় তারা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এবারের নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিসহ ১৬টি রাজনৈতিক দল। অংশ নেয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি দল। এদিকে, আমাদের আঞ্চলিক অফিস, বু্যরো প্রধান, স্টাফ রিপোর্টার ও জেলা-উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে সারাদেশে বিজয়ীদের নাম, প্রাপ্ত ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম দেওয়া হলো- আমাদের রাজশাহী অফিস জানিয়েছে, রাজশাহীর ৬টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে সদর আসনে চমক দিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর বাকি ৫টিতে নৌকার বিজয় হয়েছে। রোববার রাত ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয়টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার শামীম আহমেদ। তিনি জানান, শান্তিপূর্ণভাবে রাজশাহীর ছয়টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। আর ভোটারদের উপস্থিতির হার ছিল ৪৬ দশমিক ৪২ শতাংশ। রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী রাজশাহী-১ আসনে (তানোর-গোদাগাড়ী) আবারও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট। আর একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট। ফলাফল অনুযায়ী ১১ হাজার ১৭৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এ আসনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী পেয়েছেন ৯ হাজার ৯ ভোট, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী শাহ নেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৮ ভোট। রাজশাহী-২ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা (কাঁচি) বিজয়ী হয়েছেন। চতুর্থবারের মতো জোটের প্রার্থী হিসেবে ভোট করা বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এবার ছিটকে গেছেন। এ আসনে ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফলে শফিকুর রহমান বাদশা পেয়েছেন ৫৫ হাজার ১৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমপি ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬০ ভোট। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে নৌকার জয়জয়কার হয়েছে। এ আসন থেকে এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে আসাদুজ্জামান আসাদ ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আব্দুস সালাম। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৪৭ ভোট। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে এবারও জয় হয়েছে নৌকার। একটি মাত্র উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেছেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। আর দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন টানা তিনবারের এমপি এনামুল হক। এখানে নৌকা প্রতীক নিয়ে আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীক নিয়ে এমপি এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট। রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন যুবলীগ নেতা ওবায়দুর রহমান। নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারা পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট ও ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট। অর্থাৎ ৩ হাজার ৫১ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন ওবায়দুর রহমান। রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) এ আসনে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রার্থী ও বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক রায়হান (কাঁচি)। এ আসনে শাহরিয়ার আলম পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক রায়হান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৭৮ ভোট। বরিশাল অফিস থেকে জানা গেছে, বরিশাল জেলায় আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে। ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতেই নৌকা মার্কার প্রার্থী জয়লাভ করেছে। একটিতে মহাজোটের লাঙ্গল ও অন্যটিতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে। রোববার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বরিশাল ১ (আগৈলঝাড়া-গৌরনদী) আসনে মোট ১২৯টি কেন্দ্রে নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল হাসনাত আব্দুলস্নাহ এক লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল মার্কার সিকান্দার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ১২২টি ভোট। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে মোট ১৩৬ কেন্দ্রে মহাজোটের নৌকা মার্কার প্রার্থী রাশেদ খান মেনন এক লাখ ২২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাইয়াজুল হক রাজু পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৯৭ ভোট। বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে মোট ১২৪ কেন্দ্রে মজাজোটের লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু ৫২ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৮৯ ভোট। বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনে মোট ১৪৯ কেন্দ্রে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ নাথ এক লাখ ৬১ হাজার ৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৬২৬ ভোট। বরিশাল-৫ (সদর) আসনে মোট ১৭৬ কেন্দ্রে নৌকা মার্কার প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম ৯৭ হাজার ৭০৬ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ ভোট। বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে মোট ১১৩ কেন্দ্রে নৌকা মার্কার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ মলিস্নক ৬০ হাজার ১০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মসুল ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুল আলম চুন্নু পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৭৪ ভোট। সিলেট অফিস জানিয়েছে, সিলেটের ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। একটিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুমানে আল ইসলাহ'র সভাপতি মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী। সিলেট-১ আসনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৫৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা ফয়জুল হক মিনার প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ১৯৩ ভোট। সিলেট-২ আসনে ৭৮ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬১ ভোট। সিলেট-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়ে ৭৯ হাজার ৬৭১ বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ৩৫ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়েছেন। সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ পেয়েছেন দুই লাখ ৭ হাজার ৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির আবুল হোসেন সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১১ ভোট। এ ছাড়া এই আসনের ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন কামরান মিনার প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫২ ভোট। সিলেট-৫ আসনে কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী ৪৭ হাজার ১৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ৩২ হাজার ৯৭৩ ভোট পেয়েছেন। সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান এমপি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার হোসেন ৩৯ হাজার ৪৮৮ ভোট পেয়েছেন। স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সমঝোতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৬টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ও ২টি আসনে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা, বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি) ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন (নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি সমঝোতার কারণে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন (কলার ছড়ি) ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (রওশন গ্রম্নপ) স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল প্রতীক) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান (কাঁচি প্রতীক) পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান-(আম প্রতীক) পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান-(নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোবারক হোসেন- (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম-(নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমজাদ হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ২ হাজার ৮১৭ ভোট। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল ঘোষণা করেন। স্টাফ রিপোর্টার, যশোর জানান, যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনের চারটিতে নতুন মুখ বিজয়ী হয়েছেন। বর্তমান এমপিদের মধ্যে জিতেছেন দুইজন। দুইজন পরাজিত হয়েছেন এবং দুইজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ছয় আসনের মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বিজয়ী এবং দুইটি স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন যশোর-১ (শার্শা) আসনে শেখ আফিল উদ্দিন (নৌকা), যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন (নৌকা), যশোর-৩ (সদর) আসনে কাজী নাবিল আহমেদ (নৌকা), যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) আসনে এনামুল হক বাবুল (নৌকা), যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে ইয়াকুব আলী (আ'লীগ স্বতন্ত্র) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আজিজুল ইসলাম (আ'লীগ স্বতন্ত্র)। রোববার ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে রাত ১০টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, যশোর-১ শার্শা আসনে নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন এক লাখ ৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আফিল উদ্দিনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বেনাপোলের সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট। যশোর-২ চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৮২ ভোট। যশোর-৩ সদর আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ এমপি পেয়েছেন এক লাখ ২১ হাজার ৭২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোহিত কুমার নাথ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৫১১ ভোট। যশোর-৪ (বাঘারপাড়া অভয়নগর বসুন্দিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এনামুল হক বাবুল নৌকা প্রতীক নিয়ে এক লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির জহুরুল হক লাঙ্গল প্রতীকে ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়েছেন। যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী ঈগল প্রতীকে নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৪৬৮ ভোট। যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম ঈগল প্রতীকে ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহীন চাকলাদার নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনে ভোটযুদ্ধে নামেন ৩২ জন প্রার্থী। নৌকার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ৮ প্রার্থী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদিকে মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোর-৫ (মণিরামপুর) সংসদীয় আসন থেকে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ইয়াকুব আলী বিজয়ী হয়েছেন। সহকারী রিটার্নিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোববার রাতে বেসকারিভাবে ঘোষণা করেন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭৭ হাজার ৪৬৮। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য্য পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৩২ ভোট। এ আসন থেকে মূলত ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন লাঙ্গল প্রতীকের এম এ হালিম। তিনি পেয়েছেন ৬২৪ ভোট। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা (সোনালি আঁশ) প্রতীকে পেয়েছেন ২৩৬ ভোট। ইসলামী ঐক্য জোটের মিনার প্রতীকের প্রার্থী নুরুলস্না আব্বাসি পেয়েছেন ৮০৬ ভোট। উপজেলার এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭৩ জন। রোববার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৬৬ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর জানান, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাদারীপুরের তিনটি আসনের মধ্যে দুইটি আসনে আওয়ামী লীগ ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে। রাতে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খান জেলা মিডিয়া সেন্টারে বসে ফল ঘোষণা করেন। ফলাফলে মাদারীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূর-ই আলম চৌধুরী নৌকা প্রতীক, মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাজাহান খান নৌকা প্রতীক, মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্রী প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম ঈগল প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছেন। মাদারীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূর-ই আলম চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মোতাহার হোসেন সিদ্দীক পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৬ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. তোফাজ্জেল হোসেন খান পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪ ভোট। মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাজাহান খান নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এ কে এম নুরুজ্জামান পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের সুবল চন্দ্র মজুমদার পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ইউসুফ আলী সুমন ১ হাজার ৬৬৩ ভোট পেয়েছেন। মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্রী প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম ঈগল প্রতীক নিয়ে ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মো. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ পেয়েছে ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস পেয়েছে ২৬৩ ভোট, নিতাই চক্রবর্তী ১৯৩ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রবীণ হালদার ৪৩৪ ভোট, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল খালেক ৫৩৩ ভোট। এদিকে, শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। টানা সপ্তমবারের মতো তিনি আসনটি থেকে নির্বাচিত হলেন। মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১ হাজার ৯৫ জন। স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া জানান, বগুড়ায় অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাতটি আসনের পাঁচটিতে নৌকা, একটিতে নৌকার বিদ্রোহী ও একটিতে ক্ষমতাসীনদের মিত্র জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনটি আসনে নতুন মুখ এসেছে। বিজয়ীরা হলেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের নির্বাহী সদস্য সাহাদারা মান্নান (নৌকা) পুনরায়, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ পুনরায়, বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে নতুন মুখ আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক খাঁ মুহাম্মদ সাইফুলস্নাহ আল মেহেদী (ট্রাক), বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ১৪ দলের প্রার্থী জেলা জাসদ সভাপতি এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা), বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে নতুন মুখ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু (নৌকা), বগুড়া-৬ (সদর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু (নৌকা) এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে নতুন মুখ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মোস্তফা আলম নান্নু (নৌকা)। এদিকে নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়া-৪ আসনে টানা তৃতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়েছেন, অপরদিকে জিয়াউল হক মোলস্না ঈগল প্রতীকে ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী জানান, নীলফামারীর চারটি সংসদীয় আসনের ২টিতে নৌকা ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। রোববার রাত ৯টায় নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার পঙ্কজ ঘোষ বেসরকারিভাবে ফলাফলের ঘোষণা করেন। নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকার ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী তছলিম উদ্দিন পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৬১ ভোট। নীলফামারী-২ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর টানা ৫ম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ আংশিক) আসনে বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকে ৩৯ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী নীলফামারী জেলা যুবলীগের সহসভাপতি মার্জিয়া সুলতানা পেয়েছেন ২৫ হাজার ২০৫ ভোট। নীলফামারী-৪ (কিশোরগঞ্জ আংশিক-সৈয়দপুর) আসনে জাতীয় পার্টির নীলফামারী জেলা শাখার সহসভাপতি (বহিষ্কৃৃত) স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম ৬৯ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০১ ভোট। স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ জানান, সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অপরটিতে বিজয়ী হয়েছে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে এম এ মান্নান (নৌকা), সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ড. মোহাম্মদ সাদিক (নৌকা) ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মুহিবুর রহমান মানিক। বিজয়ীরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের রণজিত চন্দ্র সরকার ১ লাখ ৯৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৫২ ভোট। সুনামগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তা কাঁচি প্রতীক নিয়ে ৮০ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের চৌধুরী আব্দুলস্নাহ আল মাহমুদ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯৯৮ ভোট। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির মাওলানা শাহীনূর পাশা পেয়েছেন ৪ হাজার ভোট। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের ডক্টর মোহাম্মদ সাদিক নৌকা প্রতীকে ৯০ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭২১ ভোট। এদিকে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মুহিবুর রহমান মানিক বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন বলে জানা গেছে। চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ভোট গণনা শেষে রাত সোয়া ১০টায় আসনগুলোর ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান। প্রাপ্ত ফলাফলে-চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডক্টর সেলিম মাহমুদ পেয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৩ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ সেলিম প্রধান চেয়ার প্রতীক ৫৭৩৪ ভোট এবং জাসদের সাইফুল ইসলাম মশাল প্রতীক ৩৮৪৬ ভোট। চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীক ইসফাক আহসান পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৩৫ ভোট। চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. দীপু মনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঈগল প্রতীকে ডক্টর মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট। চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট। চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৪ হাজার ১৭ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মাঈনুদ্দিন ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ১৫৫ ভোট। ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দুইটিতে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে অন্য দুইটিতে জয়ী হয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের নাম ও প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ঘোষণা করা হয়। ফরিদপুরে রিটানিং কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার জানান, ফরিদপুর-১ আসনে (বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা) আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রহমান নৌকা প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩১, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আরিফুর রহমান দোলনের ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৮৯। ফরিদপুর-২ আসনে (নগরকান্দা, সালথা) আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবু নৌকা প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ৮৬ হাজার ৯৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র জামাল হোসেন মিয়ার ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৮৪ হাজার ১১৪। ফরিদপুর-৩ আসন (সদর) স্বতন্ত্র ঈগল প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯টি।

ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ নৌকা প্রতীক প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ২৪০৬৬ হাজার, স্বতন্ত্র মজিবুর রহমান নিক্সন ঈগল পেয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ০৩৫। ২৩ হাজার ৯৬৯ ভোটে ৬৯ স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীক বিজয়ী হয়।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ তিনটিতে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দুইটিতে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার রাতে গাইবান্ধা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন। বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন- গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (ঢেঁকি)। তিনি পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারী (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৮৯ ভোট।

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর (ট্রাক) ভোট পেয়েছেন ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরকার (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৭ ভোট।

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি (নৌকা) ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুল হক সরকার (ঈগল) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট।

গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ (নৌকা)। তিনি ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ১৭৯। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (ট্রাক) পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৫৩ ভোট।

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহমুদ হাসান (নৌকা) ১ লাখ ৭ হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক) পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫২৬ ভোট। ভোট কাস্ট হয়েছেন ৩৮.০৭ ভাগ।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরে পাঁচটি নির্বাচনী আসনের মধ্যে চারটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অপর আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আখতার উজ্জান বিজয়ী হয়েছেন।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুয়ায়ী গাজীপুর-১ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (নৌকা), তার ভোট ১ লাখ ৯ হাজার ২১৮। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা রেজাউল করিম রাসেল স্বতন্ত্র (ট্রাক) পেয়েছেন ৯২ হাজার ৭৮৮ ভোট।

গাজীপুর-২ (গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল (নৌকা)। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৪৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন পেয়েছেন (ট্রাক)-৮৪ হাজার ১২৯ ভোট।

গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও গাজীপুর সদর একাংশ) অধ্যাপিকা সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমানা আলী টুসি (নৌকা) পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১৯৬ ভোট (বিজয়ী)। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ (ট্রাক প্রতীকে) পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৭৪ ভোট।

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) ১২২ কেন্দ্র নৌকা প্রতীকে বর্তমান এমপি সিমিন হোসেন রিমি ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট পেয়েছেন।

গাজীপুর-৫ আসনের (কালীগঞ্জ ও পুবাইল ও বাড়িয়া) আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাকসু’র সাবেক ভিপি ও জিএস আখতারউজ্জামান (ট্রাক প্রতীকে) পেয়েছেন ৮২ হাজার ৭২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি মেহের আফরোজ চুমকি (নৌকা প্রতীকে) পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৮৩ ভোট।

পাবনা প্রতিনিধি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনার ৫টি সংসদীয় আসনে একটি নতুন মুখ আর চারটি পুরনো মুখ নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছেন। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসন মু. আসাদুজ্জামান বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাবনা ১ আসনে মোট ১২৫টি কেন্দ্রের ফলাফল নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৩১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ট্রাক মার্কা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৭২ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়েছেন।

পাবনা ২ আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বিজয়ী হয়েছেন। ১০৮ কেন্দ্রের মোট ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনএম’র নোঙর প্রতীকের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।

পাবনা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। মোট ১৭৬ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৯ ভোট পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ১ লাখ ১৫৯ ভোট।

পাবনা-৪ আসনে মোট ১২৯ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৩ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট। পাবনা-৫ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স পেয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৬ ভোট।

পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালীতে ৪টি আসনের ৩টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও একটিতে জোটের প্রার্থী জাপা মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

পটুয়াখালী-১ আসনে (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) ১৫৯ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী জাপা মনোনীত আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ৮১৫০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন তালুকদার ডাব প্রতীকের তিনি পেয়েছেন ২৬৮৭৪ ভোট।

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ১১৪ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ স ম ফিরোজ নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাপা প্রার্থী মো. মহসিন হাওলাদার ২৯৫৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) নির্বাচনী এলাকার ১২৪ কেন্দ্রে এস এম শাহজাদা নৌকা প্রতীকে ৯৪ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আবুল হোসেন ঈগল প্রতীকে ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়েছেন। পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) আসনের ১১০ ভোট কেন্দ্রে মহিববুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৫৬২৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার পেয়েছেন ৪৫৪০২ ভোট।

রংপুর প্রতিনিধি জানান, জাতীয় পার্টির ঘাঁটি বলে খ্যাত রংপুর-৬ আসনের ৫টিতেই চার কারণে জাতীয় পার্টির (জাপা) বিপর্যয় ঘটেছে। আত্মীয়করণ, ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়ন, সাংগঠনিক দুর্বলতাসহ বিভিন্ন কারণে এই বিপর্যয়। এর আগের নির্বাচনেও দুটি ছাড়া সবকটিতেই পরাজয় বরণ করতে হয় দলটির প্রার্থীদের।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের ৬টি আসনের মধ্যে শুধু রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের জয়লাভ করেছেন। বাকি ৫টি আসনে পরাজয় বরণ করেছেন। এর মধ্যে ৩টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা তাদের জামানত হারিয়েছেন। পরাজিত প্রার্থীরা হলেনÑ রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, রংপুর-২ আসনে আনিছুল ইসলাম মÐল, রংপুর-৪ আসনে মোস্তফা সেলিম, রংপুর-৫ আসনে আনিছুর রহমান ও রংপুর-৬ আসনে নুর আলম মিয়া। এদের মধ্যে জামানত হারিয়েছেন রংপুর-১, রংপুর-৫ ও রংপুর-৬ আসনে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, দলীয়প্রধানের অসংলগ্ন বক্তব্য, সাংগঠনিক দুর্বলতা, অসহযোগিতা, সিদ্ধান্তহীনতা ও পারিবারিককরণ, ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়নকেই পরাজয়ের কারণ হিসেবে দেখছেন দলীয় নেতাকর্মী।

তারা জানান, তৃণমূল পর্যায়ে কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ নেই দলীয় চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের। এ কারণেই পার্টির অনেকেই ভোটদানে বিরত ছিলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কোনো কমিটি না হওয়ায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে নাই। এর ফলে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছে অনেকেই।

রংপুর-৪ আসনের জাতীয় পার্টির পরাজিত প্রার্থী ও দলের জেলা কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংগঠনিক অসহযোগিতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে তার পরাজয়ের মূল কারণ।

তারাগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব তুহিনুর ইসলাম তুহিন জানান, সিদ্ধান্তহীনতা, পারিবারিককরণ, দলের দুঃসময়ের থাকা ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়ন, দলীয়প্রধানের সকালে, দুপুরে, বিকালে ও রাতে একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য পরাজয়ের কারণ হিসেবে দেখছেন।

রংপুর-৬ আসনের জাপার অপর পরাজিত প্রার্থী নুর আলম মিয়া জানান, সাজানো নির্বাচনের কারণে তার পরাজয় হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান তার কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

ফলাফলে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর- সদরের একাংশ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের জহুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৯ ভোট। সিরাজগঞ্জ-২ (সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডক্টর জান্নাত আরা হেনরী ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮০ ভোট। সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সুইট ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭০৮ ভোট।

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ২ লাখ ২০ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির হিল্টন প্রামাণিক লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮ ভোট। সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রার্থী আব্দুল মমিন মÐল ৭৭ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৭৩ হাজার ১৮৩ ভোট। সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রার্থী চয়ন ইসলাম ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মিরু ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৭৬ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচনী আসনের বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে চারটি আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়ী এবং একটি আসন লাঙ্গল প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। ফলাফল ঘোষণার পর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস দেখা দিয়েছে এবং তারা বিজয়ের ¯েøাগান দিয়ে রাজপথে নেমে আসে।

বিজয়ীরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)। আর ১২৮টি কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে নৌকা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। আর ১৩১টি কেন্দ্রে নৌকা মার্কা নিয়ে আব্দুল্লাহ আল কায়সার পেয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিপুল ভোটে আবার বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান। ২২৯ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে শামীম ওসমান এক লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। এ আসনের ১৭৫টি ভোট কেন্দ্রে গণনা শেষে লাঙ্গল মার্কা নিয়ে সেলিম ওসমান পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট।

হাওড়াঞ্চল প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সন্তানসহ এমপি হলেন ছয়জন। নির্বাচনে বর্তমান ছয় এমপির মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন- কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন (ঈগল), কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনে মজিবুল হক চুন্নু (লাঙ্গল), কিশোরগঞ্জ-৪ (অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন) আসনে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী ও বাজিতপুর) আফজাল হোসেন (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নাজমুল হাসান পাপন (নৌকা)।

নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩টিতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। বাকি ২টি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। যদিওবা সেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জেলা আওয়ামী লীগেরই প্রথম সারির নেতা। নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন এবং বড় ব্যবধানে হারান ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থীকে (নৌকা)।

ফলাফলে নওগাঁ-১ (সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর) আসনে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান (তোতা) পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭২৯ ভোট।

নওগাঁ-৩ (বদলগাছী ও মহাদেবপুর) আসনে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদার পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ (গামা)। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট।

নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে ১ লাখ ৪ হাজার ৬৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন জলিল (জন)। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৮৪ ভোট।

নওগাঁ-৬ (রাণীনগর ও আত্রাই) আসনে ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট।

দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের ৬টি আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হলেনÑ দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া জাকা ১ লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী মনোরঞ্জন শীল গোপাল পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ ভোট।

দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে আনোয়ার চৌধুরী জীবন পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৫৯ ভোট।

দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ কাঞ্চন পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ ভোট।

দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভোট ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট।

দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হযরত আলী বেলাল ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৮২ ভোট।

দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী শিবলী সাদিক ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে ডক্টর আজিজুল হক পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু জাহির ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। হবিগঞ্জ-৩ আসনে তার সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করা অন্য ৮ প্রার্থীর সবাই জামানত হারিয়েছেন। জেলার চারটি আসনে তিনিই নতুন বর্তমান এমপি। বাকি সবাই নতুন মুখ। এ আসনে আবু জাহির নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০৫। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) আব্দুল মুমিন চৌধুরী বুলবুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬ ভোট।

হবিগঞ্জ-১ আসনে নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বীর থেকে ৪৪ হাজার ভোট বেশি পেয়ে হবিগঞ্জে প্রথম নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ঈগল প্রতীকে ৭৫ হাজার ভোট পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে এমপি নির্বাচিত হন।

এদিকে কেয়া চৌধুরীর নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু লাঙ্গল প্রতীকে ৩০ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়েছেন।

হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে এক লাখ ভোটে পরাজিত করলেন আলোচিত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। টানা দশ বছর সংসদ সদস্য ও পাঁচ বছর মেয়াদে মন্ত্রিপরিষদে থাকা এই নেতাকে পরাজিত করে সুমন আরও আলোচিত হলেন। এদিকেÑ টানা তিনবারের প্রভাবশালী এমপি আব্দুল মজিদ খানকে অর্ধলাখ ভোটে পরাজিত করলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত তরুণ প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ। ব্যারিস্টার সুমন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী পেয়েছেন মাত্র ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট।

বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন প্রার্থী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সফল সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগসহ বাগেরহাটের ৪টি আসনেই নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে বদিউজ্জামান সোহাগ বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনের ১৪৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী আওয়ামী লীগ এম আর জামিল হোসাইন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৬ ভোট।

বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) আসনে ১২৪টি কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকার প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ২১০ ভোট।

বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনের ১২৫টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক নিয়ে শেখ তন্ময় পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪ হাজার ১৭৪ ভোট।

বাগেরহাট-৩ (মোংলা ও রামপাল) আসনে ৯৬টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৮৪ হাজার ৩৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৬৮ ভোট।

শেরপুর প্রতিনিধি জানান, শেরপুরের ৩টি আসনের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা মনোনীত প্রার্থী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ৭ জানুয়ারি রোববার রাতে নিজ নিজ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের তৈরি বেসরকারি ফলাফল শিটে ওই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা যায়, শেরপুর-১ (সদর) আসনে মোট ১৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ঘোষিত ১৪৩ কেন্দ্রের ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানুয়ার হোসেন ছানু ট্রাক প্রতীকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট। এ আসনের মুকসুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল বাতিল করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে