দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পর স্বপ্ন পূরণ হলো উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলাবাসীর। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী-রাজারহাট) উপজেলা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-২ আসনে এমপি পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হামিদুল হক খন্দকার (ট্রাক)।
ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইদুল আরীফ। তিনি কুড়িগ্রাম-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হামিদুল হক খন্দকারকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
ডা. হামিদুল হক খন্দকার (ট্রাক) প্রতীকে ১ লাখ ২১ হাজার ২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি পনির উদ্দিন আহমেদ। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৪৫ ভোট। কুড়িগ্রাম-২ আসনে ভোটের পার্থক্য ছিল ৫৫ হাজার ১৭৫ ভোট। রোববার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় ফুলবাড়ী উপজেলাবাসীর মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। এখানকার বাসিন্দারা দীর্ঘ প্রত্যাশার পর নিজ এলাকার এমপি নির্বাচিত করতে পারায় গর্বিত। স্থানীয় স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইসমাইল হোসেন জানান, 'ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে কুড়িগ্রাম-২ আসনে এমপি নির্বাচিত করার স্বপ্ন আমাদের দীর্ঘদিনের। ফুলবাড়ী উপজেলাবাসী এবার ডা. হামিদুল ইসলাম খন্দকারকে এমপি নির্বাচিত করে সেই স্বপ্ন পূরণ করল। আমরা গর্বিত।'
মঞ্জুরা ইয়াছমিন জানান, 'আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ভোট দিতে পেরে খুশি হয়েছি। নিজের প্রথম ভোটটি আমার এলাকার ডা. হামিদুল হক খন্দকারকে দিতে পেরেছি। ওই প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।'
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম-২ আসনটি বিগত দিনে দীর্ঘসময় জাতীয় পার্টির দখলে থাকলেও এবার প্রধান বিরোধী দল বিএনপিবিহীন এই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সাবেক পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হামিদুল হক খন্দকার নির্বাচন করায় এর হিসাব পাল্টে যায়।