ফেনীতে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী-৩ আসন সোনাগাজীতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী রহিম উলস্নাহর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহীনা আক্তার পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোমেনা আক্তারকে আহ্বায়ক ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামরুল হাসানকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) তাসলিম হোসাইন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পলস্নবী চাকমা ও সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশকে নিয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেন।
আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ওই কমিটিকে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভোটের দিন দুপুরে উপজেলার ভোরবাজার অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ এনে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রহিম উল্যাহর ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমির হোসেনের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের এ ঘটনা ঘটে।
পুনঃনির্বাচনের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রহিম উলস্নাহ ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের অভিযোগে নতুন তফসিলে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি নির্বাচন কমিশন সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এ অভিযোগ দেন। এর আগে তিনি রোববার বিকাল তিনটায় সোনাগাজী হাজী রহিম উলস্নাহ শপিং কমপেস্নক্সের নিজ কার্যালয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট বর্জন করেন।
তিনি অভিযোগ করেন দুই উপজেলায় ১৪৪টি ভোট কেন্দ্রেই তার এজেন্টেদের বের করে দেওয়া হয়। প্রিসাইডিং অফিসারদের সহযোগিতায় জাপা প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর লাঙ্গল প্রতীকে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সিল মারেন।
রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ঘোষিত ফলাফলে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ বিজয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬২৬ ভোট।