দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৯৬টি এবং ভোটার রয়েছে ৫ লাক্ষ ১৫ হাজার ৩৪৬ জন। যার মধ্যে বৃহত্তর উপজেলা দীঘিনালায় রয়েছে ২৯টি কেন্দ্র এবং ৮৮ হাজার ৩৭৭ জন ভোটার।
৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ২৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সরেজমিন গিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি সরব দেখা গেলেও পাহাড়ি অধু্যষিত ভোট কেন্দ্রগুলোর চিত্র ছিল ভিন্ন। এ কেন্দ্রগুলো ছিল একেবারেই ভোটশূন্য। কোনো কোনো কেন্দ্রে ছিল না নৌকাসহ অন্য প্রার্থীর এজেন্টও। এ রকম ৩টি কেন্দ্র ছিল একেবারেই ভোটশূন্য। যেখানে কোনো ভোটই পড়েনি।
আর ৫টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ২১টি। যার মধ্যে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১৮টি ভোট। অথচ এই আট কেন্দ্রের বিপরীতে ভোটার রয়েছে মোট ২৪ হাজর ৮৯৩ জন।
বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, পাহাড়ি অধু্যষিত পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ২১টি, এবং তিনটি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। ভোটশূন্য কেন্দ্রগুলো হলো- নুনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ভোটার সংখ্যা-২ হাজার ৫১৩), জারুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ভোটার সংখ্যা-২ হাজার ৮৯), এবং ২নং বাঘাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ভোটার সংখ্যা-২ হাজার ২৪২)। দুপুরে সরেজমিন ভোটারশূন্য কেন্দ্রগুলোর সংশ্লিষ্ট ভোটারদের সঙ্গে কথা বললেও মুখ খুলতে রাজি হননি কেউ। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভোটার জানিয়েছেন, আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ ভোট বর্জনের ডাক দেওয়াতে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রয়েছেন।
সবশেষে উপজেলার মোট ২৯টি কেন্দ্রের ফলাফলের মধ্যে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৪০ হাজার ৭৪৫ ভোট, লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছে ১ হাজার ৮৪৮ ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীক পেয়েছে ৩৬০ ভোট, এবং আম প্রতীক পেয়েছে ৫৫৫ ভোট এবং বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৮৭ ভোট।