কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভস্মীভূত হয়েছে অন্তত এক হাজার ৪০ বসতঘর। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট এপিবিএন পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই ক্যাম্পে এ বস্নকের সাব বস্নকের এ এইট শেডে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল।
সহ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, 'হঠাৎ ক্যাম্প-৫ এলাকায় অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট কাজ করেছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে, আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনই বলা যাচ্ছে না।'
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এক হাজার ৪০ রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে গেছে। দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হওয়ায় বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের হাত থেকে রক্ষা পায় ক্যাম্পটি।
এদিকে, অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি কাজ শুরু করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। তাদের নিজস্ব টুইট বার্তায় আটশ' রোহিঙ্গা পরিবার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন এবং তাদেরকে মানবিক সহায়তা প্রদানেও উদ্যোগ নিয়েছে এ সংস্থাটি।
রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা হামিদ উলস্নাহ অভিযোগ করে বলেন, 'রাত ১টার দিকে আরসা সন্ত্রাসীরা ৫ নম্বর ক্যাম্পে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে। রাত আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় অসংখ্য ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।'
উলেস্নখ্য, গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর একইভাবে আরও একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫০টি রোহিঙ্গা বসতঘর পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও অর্ধশতাধিক ঘর। এর আগে ৫ মার্চ একই ক্যাম্পের অন্য একটি বস্নকে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায় দুই হাজার ২০০ ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা।