ঘোড়াঘাটে ১৯০ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা তৈরি
প্রকাশ | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আদর্শ বীজতলা তৈরি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। পুরনো পদ্ধতির বীজতলার পরিবর্তে এখন আদর্শ বীজতলা তৈরিতে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আদর্শ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের জন্য প্রথমে শুকনা জমি ভালোভাবে চাষ করে জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হয়। জমি প্রস্তুত হলে ১ মিটার প্রস্থ, ৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রতি বেডের মাঝে ৫০ সে.মি. নালা রেখে বীজতলা তৈরি করতে হবে। মানসম্মত বীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেগুলো বীজতলায় ছিটিয়ে দিতে হয়। বীজ ছিটানোর ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে চারাগুলো রোপণের উপযুক্ত হয়।
উপজেলার পালশা ইউনিয়নের বলাহার বস্নকের কৃষক আবু তাহের, মশিউর রহমান, ফারুক হোসেন, মেহেদী হাসান বলেন, সুস্থ ও সবল চারা উৎপাদন, বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা করতে ও কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষা ও পোকার আক্রমণের ঝুঁকি কম থাকায় আমরা পুরনো পদ্ধতির পরিবর্তে আদর্শ বীজতলা তৈরি করেছি। বীজতলা তৈরিতে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শসহ তদারকি করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, উপজেলার ১টি পৌরসভা ৪টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ১২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পরিমাণ জমির জন্য ৪৭৬ হেক্টর বীজতলার প্রয়োজন। এর মধ্যে আদর্শ বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯০ হেক্টর। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, কোল্ড ইনজুরি থেকে বীজতলা রক্ষা করতে জমিতে পলিথিন ব্যবহারসহ রাতে পানি দিয়ে সকালে বের করে দিতে হবে।