দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

বিভিন্ন এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ নারী ও তরুণ ভোটারদের লক্ষণীয় উপস্থিতি ফকিরহাটে ১১০ বছরের বৃদ্ধার ভোট প্রদান

প্রকাশ | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নারী ও তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বেশিরভাগ জেলায় ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর- স্টাফ রিপোর্টার, যশোর জানান, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে যশোরের ৬টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে সকালের দিকে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। দুপুর ১২টার পর ইউনিয়ন পর্যায়ে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সেই তুলনায় যশোর সদর আসনের শহরের কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিতি বাড়েনি। এর কারণ হিসেবে স্থানীয়রা বলছেন ভোটের আগের রাতে ও ভোটের দিন সকালে শহরের অন্তত ১৫টি স্থানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। পাশাপাশি ভোট চলাকালে ৬টি আসনের বিভিন্ন স্থানে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ১২টি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন জখম হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিচ্ছেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যশোর-৩ (সদর) আসনে শহরের শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার ভোট শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে এ ঘটনা ঘটে। যশোর-৫ আসনে (মনিরামপুর) ঈগল প্রতীকের কর্মী মশিউর রহমানের হাত দা দিয়ে কুপিয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। হেলাঞ্চি কৃষ্ণবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে। একই সাথে ঈগলের সমর্থক সাধনকেও মারপিট করে সন্ত্রাসীরা। যশোর-১ (শার্শা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকার প্রার্থীদের ওপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বেনাপোল মহিলা সিনিয়র মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে হামলা করেন। তাদের ছুরিকাঘাতে নৌকার সমর্থক জুয়েল রানা (২৩), হাসান শাওন (৩০) ও উজ্জ্বল হোসাইন (৩২) আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অপরদিকে বাগআঁচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ট্রাক মার্কার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের বালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুই পক্ষের হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটো। স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া জানান, বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে বগুড়ার ৭টি নির্বাচনী এলাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা শনিবার রাত থেকে রোববার ভোটগ্রহণের সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র এলাকাতে ককটলে বিস্ফোরণ ঘটায় ভোটারদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হয়। অনেক এলাকায় তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে। তবে এর মাঝেও কম হলেও ভোটকেন্দ্র গুলোতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি ছিল। বগুড়া-১ আসনের সোনাতলা উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর হামলা ও তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। বগুড়া রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী জেলায় ভোট প্রদানের হার ছিল প্রায় ২৭ শতাংশ। তবে বিকাল পর্যন্ত বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেননি। অপরদিকে সোনাতলা উপজেলায় জাল ভোট দেওয়ায় এক ব্যক্তিকে ২ বছরের কারাদন্ড ও বগুড়া-৭ আসনের শাজাহানপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এক ব্যক্তির ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। বিষয়টি বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা জানান, নেত্রকোনায় উৎসবমুখর পরিবেশে জেলার পাঁচটি আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। জেলা শহরের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটারের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কিছুটা কম। কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় জেলা শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ভোটগ্রহণ চলাকালে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্ট গোলাম মৌলস্নাহ তুহিন কয়েকটি আসনের ভোটকেন্দ্র পরির্দশন করেন। পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড় জেলার দু'টি আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এই আসনের কোনো কেন্দ্রে গোলযোগের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে তুলনামূলকভাবে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক কম। রোববার বেলা আড়াইটায় পঞ্চগড়-১ আসনের পৌর এলাকার চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা গেছে, কেন্দ্রে কোনো ভোটার নেই। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ছাড়া কোনো ভোটার নজরে আসেনি। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসার জানান, প্রথমার্ধে ভোটার উপস্থিতি বেশ ভালো ছিল। দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৬ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। পঞ্চগড়-১ আসনের ১৫৬টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল চার লাখ ৩৬ হাজার ৯২৩ জন এবং পঞ্চগড়-২ আসনের ১৩১টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল তিন লাখ ৮৯ হাজার ৯৪১ জন। ফেনী প্রতিনিধি জানান, সারা দেশের ন্যায় ফেনীতেও ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টায় ফেনী শহরের পিটিআই স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোটারদের সরব উপস্থিতি। শীত সকালের কুয়াশাভেদ করে আসেন ভোটাররা। ফেনীর তিনটি আসনে ভোটার রয়েছে ১২ লাখ ৪৬ হাজার ১২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৫ জন, নারী ভোটার ৬ লাখ ২ হাজার ৪৭১ জন। নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করেন ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আনসার ভিডিপি চার হাজার ৮৬৮ জন,র্ যাব ৮০ জন, বিজিবি ১০ পস্নাটুন, সেনাবাহিনীর ৩৫০ জন ও পুলিশের ১১৫০ সদস্য। ভোটগ্রহণে ৮ হাজার ১৬৮ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির দুটি আসনে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল না। সকাল ৯টার পর থেকে ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা আসতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। তবুও আশানুরূপ উপস্থিতি ছিল না। এ দু'টি আসনে মোট প্রার্থী ছিল ১১ জন। দুইজন নৌকা প্রতীকের সরব উপস্থিতি থাকলেও অন্য ৯ জন প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট দেখা যায়নি। নির্বাচনে তাদের প্রচার-প্রচারণাও তেমন ছিল না। ঝালকাঠিতে ২৩৭ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে সকালবেলা ঘন কুয়াশায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিলে একেবারে কম। নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট প্রদান করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত রমেশ চন্দ্র সেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তহমিনা আকতার মোলস্না। জেলা রিটার্নিং অফিসের তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁও জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে মোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে দুইজন, লাঙ্গল প্রতীকে একজন এবং অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অন্যরা লড়ছেন। রামগঞ্জ (লক্ষ্ণীপুর) প্রতিনিধি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্ণীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র ছিল ভোটারবিহীন। সরেজমিন ঘুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া চোখে পড়ার মতো ভোটার দেখা যায়নি। তবে দেবনগর, ভোলাকোট, কাজিরখিলসহ অধিকাংশ কেন্দ্রেই জাল ভোটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে, উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের সোন্দড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবনের সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামছুল হক মিজানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, 'শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন শেষ হয়েছে। তবে হামলার বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের ফকিরহাটে উৎসবমুখর পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলায় ৪৫টি নির্বাচনী কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিরামহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে পুরুষ ভোটারের থেকে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া নতুন ভোটারদের আগ্রহ দেখা গেছে অনেক বেশি। তারা অতি উৎসাহের সাথে ভোট প্রদান করেছেন। কয়েকজন নতুন ভোটারের সাথে আলাপকালে তারা জানান, এই প্রথম ভোট দিতে পেরে তারা অনেক খুশি। এদিকে, ডহরমৌভোগ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা গেছে গীতা হীরা নামে ১০৫ বছরের এক বৃদ্ধা তার ছেলের সঙ্গে ভোট দিতে এসেছেন। বেতাগা ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছেলের হাত ধরে ১১০ বছরের অন্ধ এক বৃদ্ধা ভোট কেন্দ্রে আসেন ভোট দিতে। শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি জানান, মাগুরা-১ আসনে (মাগুরা সদর ও শ্রীপুর) শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ ভোট গ্রহণ চলে। জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, 'সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের দিন সকাল ৬টার মধ্যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়া হয়।' আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে রোববার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কসবা ও আখাউড়া উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ সংসদীয় আসন গঠিত হয়েছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বেলা বাড়লে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি। সরেজমিন রেলওয়ে স্কুল, দেবগ্রাম স্কুল, শাহপীর কলস্না শহীদ স্কুল, আজমপুর নুরানী মাদ্রাসা, দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আব্দুলস্নাহপুর স্কুলসহ বেশ কিছু কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ চলে। উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের কড়ইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে গোপালদী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড রামচন্দ্রদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায় লাঙ্গল প্রতীক ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিয়ামতপুরে ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোট প্রয়োগ করতে এসেছেন সাধারণ ভোটাররা। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকেই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে ভোটাররা নির্ধারিত সময়ের আগেই ভোটকেন্দ্রে ভিড় করেছেন। ভোটাররা ব্যালটে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। উপজেলার শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিয়া শ্রেঠি নামের এক ভোটার বলেন, 'অনেক বাধা আসবে এমন কথা মানুষের মুখে মুখে শুনেছিলাম কিন্তু বাস্তবে তার কোনো কিছু নেই। উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবারের সবাই মিলে ভোট দিতে এসেছি।' নতুন ভোটার অন্তরা খাতুন বলেন, 'জীবনে প্রথম ভোট প্রদান করলাম। ভোট দেওয়ার অনুভূতি অন্যরকম।'