শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

বেলকুচিতে তাঁত কারখানা ও গদিঘরে রহস্যজনক আগুন!

রামগড়ে বিধবার একমাত্র বসতঘর পুড়ে ছাই
স্বদেশ ডেস্ক
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া একটি তাঁত কারখানা -যাযাদি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে একটি তাঁত কারখানা ও গদিঘরে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ দাবি করেছে। এদিকে, খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিধবা শুকলা পালের একমাত্র বসতঘর পুড়ে গেছে। এতে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট-

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে তাঁত কারখানা ও গদিঘরে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ, এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার মালিকের দাবি এতে তার প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে বেলকুচি পৌর এলাকার চন্দনগাতী বসুন্ধরা সাহাপাড়া গ্রামের উত্তম সাহার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কিভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক কারণ জানা যায়নি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক রাত ৯টায় হঠাৎ নরেশ সাহার বাড়ির তাঁত ফ্যাক্টরি ও কাপড়ের গদিঘরে অগ্নিকান্ডের লেলিহান শিখা দেখতে পান। পরে বেলকুচি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বর্তমান স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল, পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা।

এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, যেহেতু এটি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ক্ষতি তো হয়েছে। তবে এখনই কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। এটি তদন্ত করে জানা যাবে।

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, কি কারণে আগুন লেগেছে সেটা এখনো জানা যায়নি।

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার গর্জনতলীর বিধবা শুকলা পালের একমাত্র বসতঘরটি আগুনে পুড়ে গেছে। মাথা গোঁজার শেষ অবলম্বনটি ভস্মীভূত হওয়ায় অসহায় এ বিধবা মহিলা এখন দিশেহারা। গত শুক্রবার রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১০টায় গর্জনতলীর মৃত সমর পালের স্ত্রী শুকলা পাল রান্নাঘরে ছেলেসহ রাতের খাবার খেতে যান। খাওয়া শেষ করে ছেলে ঘরে ঢুকে আগুন দেখতে পায়। ছেলের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রম্নত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে ঘরের আসবাবপত্রসহ সব জিনিস পুড়ে যায়।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল জিয়াউল হক জিয়া বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিবারটির পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। তিনি আরও বলেন, সংবাদ পেয়ে রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি, পৌর মেয়র রফিকুল আলম কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অসহায় পরিবারটিকে সান্ত্বনা দেন এবং নগদ অর্থ ও শীতবস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে