নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাজন নেই। নতুন নিয়মে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বিষয় পড়তে হবে। এতদিন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সবাইকে অভিন্ন বিষয় পড়ে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা নামে আলাদা বিভাগ অর্থাৎ বাধ্যতামূলক কয়েকটি বিষয়ের পাশাপাশি বিভাগভিত্তিক বিশেষায়িত কয়েকটি বিষয় পড়তে হতো। নতুন নিয়মে উচ্চ মাধ্যমিকে গিয়ে বিভাগ বিভাজন হবে।
সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য জেলা রাঙামাটির দুর্গম লংগদু উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো ঘুরে দেখা যায়, বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি একযোগে বই উৎসব অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করেন লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, শিক্ষা অফিসার এমকে ইমাম উদ্দিন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাকসুদুর রহমান। পাশাপাশি নতুন বইয়ে ও শিক্ষা কার্যক্রমে নতুন ধারায় পাঠদান শুরু করেছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন পদ্ধতিতে অভিন্ন বিষয় হওয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞানের অংশ কমে যাচ্ছে। ফলে উচ্চ মাধ্যমিকে গিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা হোঁচট খেতে পারে।
১৯৫৯ সাল থেকে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু হয়েছিল। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নবম ও দশম শ্রেণির বই পৃথক। এত দিন নবম ও দশম শ্রেণির বই একই ছিল।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। চলতি ২০২৪ শিক্ষাবছরে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চ মাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। সর্বশেষ ২০১২ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন হয়েছিল।
অন্যদিকে ২০১৭ সাল থেকে সরকার সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর শিশুদের তাদের মাতৃভাষায় অধ্যায়নের জন্য চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো এবং সাদরি ভাষার বই বিতরণের পাশাপাশি অন্ধ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বেইল পদ্ধতির বই বিতরণ করছে।