শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

সুনামগঞ্জ-১ আসনে দুই স্বতন্ত্রের চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকা

ধর্মপাশা ও মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সুনামগঞ্জ-১ আসনে দুই স্বতন্ত্রের চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকা

সুনামগঞ্জ -১ আসন ধর্মপাশা, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-১ আসন। এই আসনে শক্তিশালী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়েছেন টানা তিনবারের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। প্রথম দিকে রতনের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তারের সম্ভাবনা দেখা দেয় নৌকার প্রার্থী রনজিত চন্দ্র সরকারের। শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেটলি প্রতীক নিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন নির্বাচনে থাকায় পাল্টে যায় চিত্র। এদিকে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমদও ভোটের মাঠে চাপে রেখেছেন নৌকা প্রার্থীকে।

দীর্ঘদিন ধরে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এই আসনের বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদ বলয়ের বিরোধিতা চলছিল, যার জের ধরে এই আসনে আসন্ন নির্বাচনে রতনের পরিবর্তে অন্য প্রার্থীর মনোনয়নে তোড়জোড় চালাচ্ছিলেন তারা। মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে পরিবর্তন করে এই আসনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিত চন্দ্র সরকারকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় তার সঙ্গে যুক্ত হয় মুরাদ-বিলকিসের নিয়ন্ত্রণাধীন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ। তারা একজোটে নেমেছেন রনজিতের প্রচারে।

এদিকে মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের পক্ষে মাঠে রয়েছেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা। এ ছাড়া টানা তিনবারের এমপি রতনের পক্ষে রয়েছে স্থানীয়দের একটি বড় অংশের সমর্থন। অন্যদিকে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম চৌধুরী নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে রতনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তার পক্ষে জোরালোভাবে মাঠে আছেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি শামীম আক্তার খানম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সদস্য শাহরিয়ার বিপস্নবসহ তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর উপজেলার একাধিক শক্তিশালী দলীয় নেতা। সব মিলিয়ে বেশ জমে উঠেছে এই আসনের নির্বাচনী পরিবেশ।

রনজিতের পক্ষেও জোরালো অবস্থানে রয়েছেন চার উপজেলার দলীয় প্রথম সারির নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি সেলিম আহমদ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তিনি মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। এই আসনে মোট আটজন প্রার্থী মাঠে থাকলেও রতন, রনজিত ও সেলিমের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে- এমনটাই বলছেন সাধারণ ভোটাররা।

এই আসনের চারটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮০ হাজার ৬০৮ জন, যার মধ্যে ধর্মপাশায় এক লাখ ১৫ হাজার ৬৩১, মধ্যনগরে ৭৯ হাজার ৮৯০, তাহিরপুরে এক লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৩ এবং জামালগঞ্জে এক লাখ ২৯ হাজার ৪৩৪ জন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে