নৌকা প্রার্থীর অভিযোগে এবার পটিয়া থানার ওসি তদন্তকে প্রত্যাহার
প্রকাশ | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটিয়া-১২ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষে কাজ করছেন এমন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলাইমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে সিইসিতে অভিযোগ করেন আসনটির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
গত মঙ্গলবার রাতে ইন্সপেক্টর সোলাইমানকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, 'তিন দিন আগে ইন্সপেক্টর সোলাইমানসহ পটিয়া থানার আরও কয়েকজন উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী সিইসিতে অভিযোগ দিয়েছেন। তাই মূলত তাদের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা চাই কারও জন্য নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হোক। একজন প্রার্থী যেহেতু অভিযোগ করছে তাই মঙ্গলবার রাতে তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। আমরা আবার সময়মতো তাকে অন্য কোথাও পদায়ন করব। তার আগে ওই থানার ওসি নেজাম উদ্দিনসহ আরও এক উপ-পরিদর্শক ও একজন সহকারী উপ-পরিদর্শককে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।'
এর আগে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ আসনের নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসিসহ ৯ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও একাদশ জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষ হয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তারা হয়রানির করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গত ২৬ ডিসেম্বর মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর আবেদনটি ইসির প্রাপ্তি ও জারি শাখায় জমা দিয়েছেন।
গত ৭ ডিসেম্বর হুইপ সামশুল হকের পক্ষে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ এনে ওসি নেজাম উদ্দিনকে প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। সম্প্রতি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সেই ওসি নেজাম উদ্দিনকে একমাসের মাথায় প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলাইমানকে পটিয়া থানা থেকে প্রত্যাহারের আদেশটি আসে। রাতেই তিনি থানা ছেড়ে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্তিতে চলে গেছেন।