সুবজিৎ সরকারের বাবা অসুস্থ, বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। এ সময় অসচ্ছল পরিবারে অর্থের জোগান দিতে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করছে ছেলেটি। উপজেলা সদরের একটি হাওড়ে ধানের চারা রোপণ করছিল সুবজিৎ সরকার ও রুদ্র দাস। ধানের চারা রোপণ করে তাদের প্রতিদিন আয় হয় তিন থেকে চারশ' টাকা। এ আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার। বোরো জমিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে তারা ধানের চারা রোপণ করছে।
১২ বছর বয়সি সুবজিৎ জানায়, সে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আজমিরীগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। তার বাবা অসুস্থ হওয়ার কারণে আয়-রোজগার করতে পারছেন না। এজন্য বোরো ধানের চারা রোপণের শ্রমিক হিসেবে ফসলের মাঠে কাজ করছে ছেলেটি।
সুবজিৎ আরও জানায়, তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার চেয়ে বড় সে। অভাব-অনটনের সংসার। পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সে উপজেলার বিভিন্ন হাওড়ে ধানের চারা রোপণ করে তিন থেকে চারশ' টাকা আয় করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সে আর বিদ্যালয়ে যাবে কি না জানতে চাইলে আর লেখাপড়া করবে না বলে জানায়।
একই বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী রুদ্র দাসও চারা রোপণ করছিল। সে জানায়- স্কুল বন্ধ। তাই সে তার বাবা সুদাম দাসের সঙ্গে কাজে এসেছে। ধানের চারা রোপণ করে যে টাকা আয় হয়, তা নিয়ে বাবার হাতে দেয়।