রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি বিভাগে অগ্নিদগ্ধে ঝলসে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসাসেবায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে জনবল, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর অপ্রতুলতা রয়েছে। অসচেনতার কারণে প্রতিদিন বাড়ছে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা। অথচ শয্যা সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় বাড়তি রোগীকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে।
হাসপাতালের বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই বিভাগে সোমবার ১৪ শয্যার বিপরীতে রোগী রয়েছেন ৪২ জন। এর মধ্যে রয়েছে আগুনে পোড়া, বৈদু্যতিক শর্টসার্কিট, ছাইয়ের স্তূপ ও নসিমন করিমন নামে যানবাহন দুর্ঘটনায় গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগী। এসব দুর্ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জনের মৃতু্য হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়। এদের মধ্যে নভেম্বর মাসে চারজন ও ডিসেম্বর মাসে চারজন মারা গেছেন। তারা হলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সরওয়ার হোসেনের স্ত্রী লাকী বেগম (৩০), নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা এলাকার আরিফুল ইসলামের স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪৫), রংপুর নগরীর তাজহাট এলাকার সোহেল মিয়ার শিশু কন্যা সাদিকা (৩), রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার এরশাদুলের স্ত্রী রাহেলা খাতুন (৩৬), দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার মৃত রাজু মিয়ার ছেলে সামছুল হক (৭০) ও একই জেলার খেদমতপুর এলাকার মৃত আছির উদ্দিনের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৮০)।
সূত্র মতে, হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে অনেকে ৪৫ থেকে ৬০ ভাগ দগ্ধ হয়েছেন।
হাসপাতালের বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি বিভাগের ইনচার্জ ডা. মো. শাহীন শাহ জানালেন, দগ্ধ হয়ে যেসব রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখানে রয়েছেন তাদের অধিকাংশ অসচেনতার কারণে দদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু জনবল সংকট ও চিকিৎসা সামগ্রীর অপ্রতুলতার কারণে এসব রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৪ শয্যার এই বিভাগে ধারণা ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ রোগীর খাদ্য সরবরাহে নানা সংকট দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইফনুস আলী জানান, চিকিৎসা সামগ্রীর কিছুটা সংকট রয়েছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তা থাকবে না। তবে জনবল সংকটের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। এছাড়া ওই বিভাগে আর কোনো সংকট আমি দেখছি না বলে জানান তিনি।