রংপুর : ১৫ বছরে গ্রামীণ জনপদ উন্নয়নে পরিবর্তনের হাওয়া

প্রকাশ | ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

আবেদুল হাফিজ, রংপুর
গ্রামীণ জনপথ ছিল একসময় কাঁচা রাস্তা। যোগাযোগের বাহন ছিল গরুর গাড়ি আর বাইসাইকেল। ব্রিজ, কালভার্ট ছিল না। এখন জনপথে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। এটি সম্ভব করে তুলেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই চিত্র রংপুর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে। এখন রাস্তা, ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণে নগরীর সঙ্গে প্রত্যেক উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রাণ পেয়েছে। চলাচল করছে দূরপালস্না থেকে আন্তঃজেলা যানবাহন। রংপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার গ্রামীণ জনপথ উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বর্তমানে এই জেলায় ৬ হাজার ৬৫৪ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে সড়ক পাকা হয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কিলোমিটার। ইট বিছানো ১৬৮ কিলোমিটার। কাঁচা রয়েছে ৪ হাজার ২৪২ কিলোমিটার। আরসিসি সড়ক রয়েছে ৮ কিলোমিটার। সড়ক পাকাকরণের হার ৩৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। এসব রাস্তা পাঁকাকরণে ১৫ বছরে ২৫টি প্রকল্প হাতে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এর ব্যয় ধরা হয় ৩০ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকারও বেশি। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন। ৭৫০ কোটি ২৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯৩৭ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ, ২ হাজার ৪৬৫ কিলোমিটার পলস্নী সড়ক ও কালভার্ট সংস্কারে ব্যয় হয়েছে ৯৮৬ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, ২২৫ কিলোমিটার বন্যা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পলস্নী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসনে ব্যয় হয়েছে ১৫০ কোটি ১৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা, ৮ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি ৪৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ৮ উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনাসমূহ সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, পীরগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয় পর্যায়ে কৃষক সেবা কেন্দ্র স্থাপনে ব্যয় হয়েছে এক কোটি ২১ লাখ ১৯ হাজার টাকা, ৩১ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক পুনর্বাসনে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৭ লাখ ১২ হাজার টাকা, ২৮ কিলোমিটার উপজেলা (নন-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার পস্ন্যান প্রনণয়নে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, সমগ্র দেশে ২১টি শহর ও ইউনিয়নে ভূমি অফিস নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা, ২৩৪ মিটার ইউনিয়ন পর্যায়ে দীর্ঘ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। রংপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজান আলী জানান, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী রংপুর সফরে এসেছিলেন। সেখানে গত ১৫ বছরে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন করে গ্রামীণ উন্নয়নে কিছু নতুন প্রকল্প দেওয়া হলে বাকি মাটির সড়কগুলো নির্মাণ করা সম্ভব হবে।