দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় এখনো শুরু হয়নি অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান। এদিকে নির্বাচন কমিশন বৈধ অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের তালিকা করে অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সধারীদের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত শুক্রবার রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে।
বিশেষ করে উপজেলার কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, জঙ্গল খাইন, শোভনদন্ডী, জিরি, কুসুমপুরা, আশিয়া, কাশিয়াইশ, কচুয়াই, কেলিশহর, ধলঘাট, দক্ষিণ ভূর্ষি, ছনহরা, ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও পটিয়া পৌরসভায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আর এসব এলাকায় সন্ত্রাসীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। রাত নামলে এসব এলাকায় সন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্র হাতে মহড়া দেয় বলে স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে (নৌকা-স্বতন্ত্র) দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা, হামলা মামলা ঘটছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করলে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা ভয়ে থাকবে।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন ভোটারের উপস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চায়। সহিংসতাবিহীন নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে স্থানীয় সুশীলসমাজ মনে করেন।
উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৭ ইউনিয়নের লাইসেন্সধারী বৈধ অস্ত্রের পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে এর মধ্যে থানায় নিজ উদ্যোগে কেউ তাদের বৈধ অস্ত্র জমা দেননি। বৈধ অস্ত্রের ব্যবহারকারীরা এখনো পর্যন্ত তাদের অস্ত্র জমা না দেওয়ায় এসব অস্ত্র সহিংস কাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার ব্যাপারে সবাইকে জানানো হয়েছে। কেউ যথাসময়ে বৈধ অস্ত্র জমাদানে ব্যর্থ হয়, তাহলে তা অবৈধ হিসেবে পরিগণিত হবে এবং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, বৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীরা নির্বাচনের সময় তাদের অস্ত্রটি বহন কিংবা প্রদর্শন করতে পারবে না। কেউ যদি এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখানোর চেষ্টা করে প্রমাণ পেলে রির্টানিং কর্মকর্তার মাধ্যমে তার বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করাসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।