হবিগঞ্জে সংঘর্ষে এক বছরে ৩১ খুন, আহত ৮ শতাধিক

প্রকাশ | ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

মো. নূরুল হক কবির, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে গত এক বছরে আধিপত্য বিস্তার, পূর্বশত্রম্নতা ও জমিজমা নিয়ে বিরোধসহ বিভিন্ন কারণে ৩১ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৯টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হত্যাকান্ড হয় হাওড়বেষ্টিত বানিয়াচং উপজেলায়। পুলিশ ওর্ যাবের অভিযানে অধিকাংশ খুনের সঙ্গে জড়িত অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন; তবে কমছে না হত্যাকান্ড। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী- এক বছরে জেলার বানিয়াচং উপজেলায় ১১টি, চুনারুঘাটে ৪টি, লাখাই, হবিগঞ্জ সদর, বাহুবল ও মাধবপুর উপজেলায় ৩টি করে, আজমিরীগঞ্জে ২টি এবং নবীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ১টি করে হত্যাকান্ড ঘটে। এছাড়া আধিপত্য বিস্তার, পূর্বশত্রম্নতা ও জমিজমা নিয়ে বিরোধসহ বিভিন্ন কারণে এক বছরে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও অন্তত ৮৬১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বানিয়াচং উপজেলায় ৪০০, বাহুবলে ৭০, নবীগঞ্জে ৬৫, মাধবপুরে ৪৪, লাখাইয়ে ১৩৫, আজমিরীগঞ্জে ৯৫, চুনারুঘাটে ১০ এবং হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় কমপক্ষে আরও অন্তত ৪২ জন আহত হন। স্থানীয়রা জানান, বিট পুলিশিং সভাসহ বিভিন্নভাবে দাঙ্গাবিরোধী প্রচারণা চালালেও হবিগঞ্জ জেলায় দাঙ্গা ঠেকানো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ জরুরি। এক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা যায়যায়দিনকে বলেন, 'হত্যাকান্ডসহ কোনো অপরাধ যাতে বৃদ্ধি না পায়, এ জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। সব হত্যা মামলার আসামিদের হয়তো আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে বেশিরভাগ মামলার আসামিদের আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।' এক বছরে জেলার সড়কে ঝরল শত প্রাণ হবিগঞ্জ জেলায় গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২০ জনের মৃতু্য হয়েছে। দুর্ঘটনাগুলোর অধিকাংশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঘটে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে মাধবপুর উপজেলায়। এর মধ্যে মাধবপুর উপজেলায় ৩১ জন, বাহুবলে ২৩, চুনারুঘাটে ১৭, শায়েস্তাগঞ্জে ১২, নবীগঞ্জে ১১, বানিয়াচংয়ে ৯, লাখাইয়ে ৭, আজমিরীগঞ্জে ২ ও সদর উপজেলায় ৮ জনের মৃতু্য ঘটে। গণমাধ্যমের খবর বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। মারা যাওয়া লোকদের মধ্যে ১৮ জন নারী, ১২ জন শিশু ও বাকি ৯০ জন পুরুষ। এদের অধিকাংশই মারা যান মোটর সাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনায়। স্থানীয়রা বলছেন, ঢাকা-সিলেট মাহসড়কে ত্রি হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ হলেও হবিগঞ্জ অংশে এসব যানবাহন দিন-রাত চলছে। উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করলে এসব দুর্ঘটনার বেশিরভাগ কমে যেত।