চলমান বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন ও ডামি নির্বাচন বর্জনের কর্মসূচিকে উপেক্ষা করে অনেক নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং প্রচারণা করার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে বেশকিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করছে দলটি।
এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচারণা করার অভিযোগে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে চারজন নেতাকর্মীর নাম পাঠানো হয় কেন্দ্রে। কিন্তু দেখা যায়, দলে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক মন্ডলের নামে বহিষ্কারের সুপারিশ না থাকার পরও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ জেলা বিএনপি তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। দলটির সাংগঠনিক নিয়ম অনুসারে উপজেলা পর্যায়ে কাউকে বহিষ্কার করার আগে জেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশক্রমে কেন্দ্র তার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
বেলকুচিতে বিএনপির রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এলাকায় আলীম নিজের একক অবস্থা তৈরি করতেই কেন্দ্রে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজ্জাক মন্ডলকে বহিষ্কার করেছে বলে অভিযোগ করেন তার সমর্থকরা।
মঙ্গলবার বেলকুচি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল। তিনি বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন ধরে দলের হয়ে কাজ করে আসছি। আমি নিজে প্রবীণ নেতাদের নিয়ে বিএনপি দলকে বেলকুচিতে সুসংগঠিত করেছি। হামলা মামলার শিকার হয়েও দলের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি। অথচ কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ার দরুন আলীম মাঠে না থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করিয়েছেন।'
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শফিসহ ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে বহিষ্কারের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমরা জেলা থেকে চারজনের নাম সুপারিশ করেছিলাম। এর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের নাম ছিল না। এটি আসলে কোন মাধ্যমে হয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। যে কারণে এর দায়ভারও আমরা নেব না।'
অন্যদিকে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।