আজকের যায়যায়দিন

'বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে সব মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।'

সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'প্রজেক্ট প্রিপারেশন অ্যান্ড অ্যাপ্রাইজাল সফটওয়্যার (পিপিএ)' বিষয়ক কর্মশালায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য প্রজেক্ট প্রিপারেশন অ্যান্ড অ্যাপ্রাইজাল সফটওয়্যারের প্রচলন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও প্রক্রিয়াকরণের পর অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো যাবে।

পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, পিপিএ সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণের সময় সাশ্রয় হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। তাছাড়া প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণের সময় প্রকল্পের অবস্থান জানা যাবে। ফলে অনলাইনে প্রণয়ন করা প্রকল্পের একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি হবে এবং অন্যান্য ডিজিটাল সার্ভিস সেই ডাটাবেজের সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ জন্য এ সফটওয়্যার খুবই কার্যকর হবে। সব কর্মকর্তার এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে যথাসময়ে ও যথাযথভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

ভবদহ অঞ্চলে জলাবদ্ধ শতাধিক গ্রামে দুর্দশার অন্ত নেই

এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুলস্নাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ডক্টর ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।