চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেছেন, 'চট্টগ্রাম মহানগরে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আছে আমি বলব না। তবে গুরুত্বের পার্থক্য আছে। এর মানে ভোটারের আধিক্য, নানা ধরনের ভোটার, এক ভেনু্যতে একাধিক কেন্দ্র বা কোনো কোনো কেন্দ্র বিশেষ অবস্থানে আছে। আমরা মহানগরের ৬০৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪৬টিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি। সেগুলোতে আমাদের ফোর্সের ব্যবস্থাপনা এবং উপস্থিতি একটু বেশি থাকবে।'
সোমবার নগরীর কোতোয়ালি থানার জামালখান এলাকার ভোটকেন্দ্র ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিএমপি কমিশনার বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ হাজার ৫০০ জনের অফিসার ও ফোর্স মাঠে থাকবে। পাশাপাশি আমাদের সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি যুক্ত হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে রাস্তায় টহল দিচ্ছে। আমাদের সঙ্গে আনসার সদস্যরা থাকবেন, তারা কেন্দ্রভিত্তিক থেকে আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে এইড টু সিভিল পাওয়ার হিসেবে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে যুক্ত হবেন।
তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে আমরা নগরজুড়ে রোবাস্ট পেট্রোলিং পরিচালনা করছি। আমাদের সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন যুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী এবং অস্থায়ীভাবে চেকপোস্ট বসিয়েছি। পাশাপাশি নগরীর ৬০৭টি কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো সম্পর্কে আমাদের বিভিন্ন সময়ে পর্যালোচনা হয়েছে। সরেজমিনে আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন। আমরা একবার ফাইনালি কেন্দ্রগুলোর অবস্থান এবং কোন কেন্দ্রে কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে সেটার একটি সর্বশেষ পর্যালোচনা করতে আমরা মাঠে নেমেছি। আমরা ঘুরে দেখছি। সে অনুযায়ী আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান তো চলমান আছেই। বৈধ অস্ত্রের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা পরিপত্র পেয়েছি। সে অনুসারে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ লাইসেন্সধারী অস্ত্র ব্যবহারকারী যারা আছে, তারা বহন এবং প্রদর্শন করতে পারবেন না। যদি করলে অস্ত্র আইনের তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।