বাঁশখালীতে লবণ মাঠের পলিথিন কেটে শত্রম্নতা!
প্রকাশ | ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
একদিকে লবণের মূল্যে ধস, অন্যদিকে দাদন ব্যবসায়ীদের টাকা শোধ করার জন্য লবণ উৎপাদনে যুদ্ধ নেমেছেন প্রান্তিক চাষিরা। এ অবস্থায় স্থানীয় অসহায় ৮ বর্গাচাষির লবণ মাঠের পলিথিন কেটে ফুটো করে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এতে লবণ চাষিদের ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী লবণ চাষি কামাল উদ্দিন।
রোববার গভীর রাতে উপজেলার সরল ইউপির পশ্চিম সরল বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় আমিন চেয়ারম্যান ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা হলেন মো. আলমগীর, কামাল উদ্দিন, ইলিয়াছ, কাদের, রবি আলম, শাহাদত হোসাইন, মো. সেলিম ও ফকরুউদ্দিন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী লবণ চাষি কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশের একটি টিম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দুই দিন আগে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী লবণ চাষিদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা দলবল নিয়ে চাষিদের ১২ একর লবণ মাঠের ১০ লাখ টাকার পলিথিন এবং ফুটন্ত লবণ নষ্ট করে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলে ঘুমিয়ে থাকা লবণ চাষিরা প্রতিহত করতে চাইলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ফাঁকা গুলি চালিয়ে ভীতি সঞ্চার করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাদের দাবিকৃত চাঁদা সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়ারও হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী লবণ চাষি কামাল উদ্দিন বলেন, 'রাতের আঁধারে আমাদের লবণ মাঠে বিছানো পলিথিন কেটে দিয়ে লবণ উৎপাদন ব্যাহত করেছে তারা। ১২ একর লবণ মাঠের সম্পূর্ণ পলিথিন কেটে অর্ধ ফুটন্ত লবণ নষ্ট করে ফেলেছে। এতে আমাদের ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সালাহউদ্দিন কাদের মানিক বলেন, 'এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। পূর্বশত্রম্নতার জের ধরে তারা আমার নামে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ আমার নামে ষড়যন্ত্র।'
লবণ মাঠের মালিক সামসিয়াত আমিন চৌধুরী রিফান বলেন, 'স্থানীয় সন্ত্রাসী সালাহউদ্দিন কাদের মানিক, তার সহকারী কায়সার ডাকাত ও তার দলবল কয়েক বছর ধরে আমাদের চাষাদের মারধর, নিয়মিত মাছ ও লবণ লুণ্ঠন এবং চাঁদা দাবি করে আসছে। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গতকালও সে তার দলবল নিয়ে আমাদের মালিকানাধীন ১২ একর লবণ মাঠের পলিথিন ও অর্ধ-ফুটন্ত লবণ ধ্বংস করে ফেলেছে। এ অবস্থায় আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।'
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হাওলাদার বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'