বিএনপির নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও তাদের নেতৃত্ব কে দেবেন এবং অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে এখনো মারছে- এ কারণেই তারা নির্বাচনে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
রোববার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার পলস্নীবিদু্যৎ এলাকার হাজী জয়নুদ্দিন হাইস্কুল মাঠে ঢাকা-১৯ আসনে নৌকার প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের পক্ষে নির্বাচনী পথসভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বিএনপিকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানে বিতাড়িত করার দাবি জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেন, সবারই নির্বাচন করার অধিকার থাকলেও বিএনপির ব্যাপারে আমাদের কোনো ছাড় নেই। অধিকার নেই যুদ্ধাপরাধীদের দোসরদের বাংলাদেশে নির্বাচন করার। যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই বিশ্বাস করে না, তাদের কী দরকার বাংলাদেশে নির্বাচন করা। তারা পাকিস্তানে গিয়ে নির্বাচন করুক। এ দেশের জনগণ তাদের বর্জন করেছে। তাদের রাজনৈতিক কৌশল আমাদের মতো মানুষের বোধগম্য নয়। আপনারা দেখেছেন কীভাবে ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও ছেলেকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপির সন্ত্রাসীরা।
তিনি তার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের দরকার একটা অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এই দুই বিষয় একে অপরের পরিপূরক। কোনো বিশেষ দল নির্বাচনে আসল বা না আসল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না, আমাদের বিবেচনার বিষয়ও না। কিন্তু আপনাদেরই নির্ধারণ এবং নিশ্চিত করতে হবে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা কী করতে পারি। সবারই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে। আমরা কাউকে বাধা দেব না। আপনাদের সহনশীল হতে হবে এবং সবাইকে ভোট কেন্দ্রে আসতে উৎসাহ দিতে হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে অন্যের ভোট দেওয়ার পরিবেশ রক্ষা করা। বিশৃঙ্খলা এবং হট্টগোল সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নূরুল আমীন সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পথসভায় উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজিব, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আরিফ মাদবর ও থানা যুবলীগ নেতা মাহফুজ আহমেদ, নজরুল ইসলাম, ইলিয়াস মোলস্না, মাহাবুব সরকার প্রমুখ।