ঘোড়াঘাট ও পার্বতীপুরে বেড়েছে সরিষার আবাদ

প্রকাশ | ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের একটি সরিষা ক্ষেত -যাযাদি
লাভজনক হওয়ায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ও পার্বতীপুরে বেড়েছে সরিষার আবাদ। বর্তমানে কৃষকরা সরিষা ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বারি-১৮ জাতের সরিষাসহ বিভিন্ন জাতের সরিষা চলতি মৌসুমে ২৬৬৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছেন কৃষকরা। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় বারি-১৮ জাতসহ বারি-১৪, ১৫, ১৭, বিনা ৯ ও ১১ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। গত মৌসুমে সরিষার আবাদ হয়েছিল ২২০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে হেক্টরপ্রতি ফলন গত বছরের তুলনায় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়- ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙের অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। উপজেলার চেঁচুড়িয়া গ্রামের চাষি মো. আইনুল হক ও হুমায়ন কবির বলেন, কয়েক বছর আগেও তাদের জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকত। কিন্তু বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এখন জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। তারা বলছেন, বারি-১৮ জাতের সরিষা ভোজ্য তেলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সরিষা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। আমরা চলতি মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় ৩ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করেছি। পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে সরিষা চাষে তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবাদও হয়েছে বেশ ভালো। সব মিলিয়ে এবারে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষকরা। তাদের ভাষায়, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক সময়ে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার পৌঁছে দেওয়ার ফলে পার্বতীপুর উপজেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে, পাশাপাশি ভালো উৎপাদনও হবে। পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় এক হাজার ১৬২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা আবাদ করা হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। আবাদও হয়েছে বেশ ভালো। কৃষক কাওসার আলী জানান, অন্যবারের চেয়ে এবারে বেশি জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে এবং আবাদও হয়েছে বেশ ভালো। এবারে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার রাজীব হুসাইন বলেন, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের প্রণোদনা সহায়তা ও বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়েছে এবং পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও সরিষার আবাদ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা সরিষা আবাদে উৎসাহিত হয়েছে এবং আবাদও হয়েছে বেশ ভালো। তিনিও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।