রিজভীকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে :ডিবি হারুন
প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) গোয়েন্দা শাখাপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অসুস্থ জানতাম। তিনি অনেক মামলার আসামিও। অথচ তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনবিরোধী প্রচারণায় জড়িয়েছেন। তাকে খোঁজা হচ্ছে। শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
রোববার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। রিজভীকে উদ্দেশ করে ডিবিপ্রধান বলেন, একজন অসুস্থ মানুষ একটু পর পর আন্দোলনের ঘোষণা করে। একজন অসুস্থ মানুষ কীভাবে এসব আন্দোলনের ঘোষণা করে। যদি তিনি সত্যিই অসুস্থ থাকেন তাহলে আদালতে গিয়ে হাজিরা দিতে পারেন।
হরতাল, অবরোধসহ ভোট বর্জনের কর্মসূচির নামে নাশকতার কাজে বিএনপি দিনমজুর-শ্রমিকদের ব্যবহার করছে দাবি করে ডিবিপ্রধান বলেন, বিএনপি ভোট বর্জনের কর্মসূচির নামে যা করছে তা দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী। তারা যে লিফলেট বিতরণ করছেন সেখানে বলা হচ্ছে, সরকারকে সব ধরনের ট্যাক্স খাজনা, ইউটিলিটি বিল স্থগিত করুন। তারা একদিকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে নাশকতার কাজ করছেন। বিএনপির এসব অপপ্রচার রাষ্ট্রদ্রোহ কাজ। তাদের এই অপপ্রচার সংবিধানবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী এবং জনবিরোধী। এই প্রচেষ্টা থামানোর জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ বদ্ধপরিকর।
হারুন অর রশীদ বলেন, ১০ হাজার পিস নির্বাচনবিরোধী লিফলেট, গানপাউডার ও ককটেলসহ গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার ১১ জনের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ও বিস্ফোরক আইনের একাধিক ধারায় মামলা হয়। ওই মামলার সূত্র ধরে ডিবি রমনা ও লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম পশ্চিম ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে নাজমুল হুদা ওরফে রাকির (২৬), রাসেল মিয়া (২৭), নাহিদ হোসেন (৩৩) এবং বিকাশ কুমার শীল (২৮) চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে নাজমুল হুদা রাকিব ছাত্রদল তেজগাঁও কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রাসেল ও নাহিদ নির্মাণ শ্রমিক এবং যুবদল কর্মী। আর বিকাশ কুমার শীল প্রিন্টিং দোকানের লোক। নির্বাচন বর্জন, সব রকমের ট্যাক্স, সেবা কর পরিশোধ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সংবলিত লিফলেট পশ্চিম ধানমন্ডির ?'ডিজাইন রুম' নামক দোকানে প্রিন্ট করা হয়েছে। ওই দোকান থেকে প্রিন্টিং মেশিন, ফটোকপিয়ার ও প্রিন্টারক জব্দ করা হয়েছে।
হারুন বলেন, গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতা এবং যুবদল কর্মীরা স্বীকার করেছে যে নগদ টাকা, দলীয় পদ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক নির্মাণশ্রমিক, পরিবহণ শ্রমিক ও ইয়াং লোককে যুবদল এবং ছাত্রদলের বেশকিছু সিনিয়র নেতার তত্ত্বাবধানে ঢাকার ওয়ারী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে এনে তাদের দিয়ে ঝটিকা মিছিল, মশাল মিছিল, ভাঙচুর আগুন দেওয়া, বিস্ফোরণ ঘটানোসহ নির্বাচনবিরোধী লিফলেট ছাপানো এবং বিতরণের কাজ করা হচ্ছিল। ওই সিনিয়র যুবদল এবং ছাত্রদল নেতাদেরও খোঁজা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য দায়বদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মী একদিকে যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমা বিস্ফোরণ, রেলের বগিতে আগুন দেওয়া রেলের স্স্নিপার চুরি করে দুর্ঘটনায় ফেলে দেওয়ার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়েও সফল হতে পারেনি। এই ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য লিফলেট ছাপিয়ে, নানা রকমের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জনগণকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে, নির্বাচন কেন্দ্রে না আসতে কুমন্ত্রণা দিয়ে লিফলেট বিতরণ করছে।
এই লিফলেটের মাধ্যমে তারা নাগরিকদের সব ধরনের খাজনা, কর ও বিল পরিশোধ না করে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির কুমন্ত্রণা দিচ্ছে। এভাবে তারা রাষ্ট্রদ্রোহের কাজ করে যাচ্ছে।