কক্সবাজারে আরসার আস্তানায়র্ যাবের হানা, গ্রেপ্তার ৩
প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছের্ যাব। এ সময় আস্তানা থেকে বিপুল বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আরসার তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- আরসার লজিস্টিক শাখার প্রধান হাফেজ রহমত উলস্নাহ (৩৫), ১০ জনের একটি উপদলের নেতা মঞ্জুর আলম (২৩) ও বস্নক জিম্মাদার নুরুল ইসলাম (২৫)। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ও সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে- ৪.৯ কেজি বিস্ফোরক, ১৫টি হাতবোমা, আইইডি তৈরির সরঞ্জাম, ১.৫ কেজি মারকারি, ১টি ওয়াকিটকি, ৫৩টি সার্কিট, ৯ বান্ডিল সামরিক বাহিনীর মতো পোশাক তৈরির কাপড়, ৭০টি গেঞ্জি, ১২টি টুপি, ১৩০টি হ্যান্ড গস্নাভস ও ১টি ল্যাপটপ।
রোববার দুপুরের্ যাব কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এ সাজ্জাদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
র্
যাব বলছে, এই আস্তানায় বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা বিস্ফোরকসহ বোমা ও মাইন তৈরির নানা ধরনের সরঞ্জাম মজুত করত আরসা। পরে নাশকতার উদ্দেশ্যে সেগুলো পাঠানো হতো উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।
সংবাদ সম্মেলনের্ যাব জানায়, আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করত। ইতিমধ্যে আরসা প্রধান আতাউলস্নাহর একটি অডিও বার্তাওর্ যাবের হাতে এসেছে। যেখানে ক্যাম্পে নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির প্রধান।
সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ বলেন, 'রাষ্ট্রীয় একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের কলাতলী আদর্শগ্রামের ডিসি পাহাড় সংলগ্ন ভাড়া বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়।'
গ্রেপ্তার রহমত উলস্নাহ বরাত দিয়ের্ যাব অধিনায়ক আরও বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে- আরসা প্রধান এবং সামরিক শাখার প্রধানের ডিমান্ড অনুযায়ী বিভিন্ন উৎস থেকে বোমা ও মাইন বানানোর জন্য হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, মারকারি (পারদ), ফোম, টর্চ লাইট, ব্যাটারি, ব্যাটারির ক্যাপ, ইলেকট্রিক তার, ইলেকট্রিক ক্লিপ, ছোট টেবিল ঘড়ি, ছোট লাইট, লোহার রড, সিমেন্ট, ছোট লোহার টুকরা, পাইপ, কাচসহ নানান সরঞ্জাম সংগ্রহ করতেন। এছাড়া তিনি আরসার ইউনিফর্মের কাপড়, শীত বস্ত্র, রেইন কোট, বুট জুতা, মোজা, বেল্ট, ক্যাপ, ব্যাগও সংগ্রহ করতেন।'
এসব তিনি কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে তা জমা রাখতেন এবং পরবর্তীতে আরসার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড খালেদের নির্দেশনা অনুযায়ী উখিয়া এবং টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সদস্যদের কাছে পাঠাতেন।