শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
স্থানীয় দোকানিদের মাথায় হাত

রাজাপুরের গ্রামে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে লেপ-তোশক

আবু সায়েম আকন, রাজাপুর (ঝালকাঠি)
  ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো ঝালকাঠির রাজাপুরেও বইছে শীতের আমেজ। শীত নিবারণে তাই কদর বেড়েছে লেপ-তোশকের। শহর কিংবা গ্রামে প্রতি বছরই এই সময়ে ব্যস্ত হয়ে উঠে লেপ-তোশকের কারিগররা। সকাল থেকে রাত অবদি দোকানগুলোতে থাকে ক্রেতাদের আনাগোনা। বিগত বছরগুলোতে এই সময়টায় কারিগরদের দিনরাত কাজ করতে হতো। তবে এ বছরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কারিগরদের তেমন ব্যস্ততা নেই।

চাহিদা বেশি থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৌসুমি ভাসমান ব্যবসায়ীরা ঢুকে পড়েছে এ অঞ্চলে। তারা উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঘর ভাড়া নিয়ে প্রতিদিন সকাল হতে না হতেই গ্রামগঞ্জে বেড়িয়ে পড়ে রেডিমেট লেপ-তোশক নিয়ে। তুলনামূলক এই মালের দাম কম হওয়ায় গ্রামের মহিলাদের কাছে এর চাহিদা বেশি।

উপজেলা সদরের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, এখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এক একটি দোকানঘর পাওয়ার জন্য ঘর মালিককে জামানত বাবদ কয়েক লাখ করে টাকা দিয়েছেন। প্রতিমাসে ঘর ভাড়া বাবদ গুনতে হয় কয়েক হাজার টাকা। এ ছাড়াও মাসিক বেতনের চুক্তিতে লেপ-তোশকের কারিগর রাখতে হয় তাদের। দোকানের অবস্থান অনুযায়ী ২-৩ জন কারিগর রাখতে হয় প্রতিটি দোকানে। প্রতি বছরই শীতের অপেক্ষায় থাকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কারণ শীতের সময়ে লেপ-তোশকের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এবছরে ভাসমান ব্যবসায়ীদের কারণে পথে বসতে চলেছে এখানকার স্থানীয় নতুন পুরাতন ব্যবসায়ীদের অনেকেই।

তারা আরও বলেন, 'ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাজের মান এবং মালের মান খুবই খারাপ। তারা শুধু আমাদের পেটে লাথি মারছে এমনটা নয়- তারা ক্রেতাদের সঙ্গেও প্রতারণা করছে। আমরা স্থানীয় এবং স্থায়ী ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে ত্রেম্নতাদের নিম্নমানের তুলা বা কাপড় দিয়ে লেপ-তোশক বানিয়ে দিতে পারি না। ফলে আমাদের লেপ-তোশক বানিয়ে তা বিক্রি করতে হয় বেশি টাকায়। অথচ ভাসমান ব্যবসায়ীরা পোশাক কারখানার জুট দিয়ে তুলা বানিয়ে এবং নিম্নমানের বাজে কাপড় দিয়ে এসব লেপ-তোশক বানিয়ে বিক্রি করে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে