শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে রোপা আমন তোলার ধুম

ইঁদুর ও কচুরিপানায় কৃষকের বিড়ম্বনা
ম মো. আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার
  ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

মৌলভীবাজারে মাঠে এখন বইছে অগ্রহায়ণের মৌ মৌ হাওয়া। মাঠ-ঘাটে কৃষক-কৃষাণীদের উপস্থিতিতে ধান কাটার বিষয়টি যেন উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। এক সময় জমি থেকে ধান কেটে নিয়ে বাড়ির উঠান কিংবা আঙ্গিনায় গরু-মহিষ দিয়ে মাড়াই'র কাজ করা হতো। এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নিমিষেই গোলায় ধান তুলতে পারেন সবাই। তবে আধুনিক পন্থা ব্যবহার না করে কিছু এলাকায় আগের মতোই ধান মাড়াই করতে দেখা যায়।

মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলাবেষ্টিত কাউয়াদিঘি হাওড় পাড়ের পুকুরিয়া বিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাকা জমির ধান চুক্তি করে কাটাচ্ছেন কৃষকরা। কাটার কাজ শেষ হলে ধানের গোছা একত্রিত করে ঠেলা গাড়ি দিয়ে বাড়ি নিয়ে উপযোগী করে তুলছেন। প্রতি কিয়ার ধান কাটতে ৪০০-৫০০ টাকা দিতে হয় কৃষকদের। আবার মাড়াই করতে হলে প্রতি ২০ বস্তা ধানে এক বস্তা দিতে হয় মাড়াইকারীদের। কৃষকরা জানান, ধানের বীজ থেকে শুরু করে চারা রোপণ, সার প্রয়োগ ও ধান কেটে বাড়ি আনতে প্রতি কিয়ারে তাদের পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। কিন্তু হিসাবে-নিকাশ করে ৯ হাজার টাকার ধান সংগ্রহ করেন। এতে তারা তেমন একটা লাভবান হন না। শুধু নিজের ক্ষেতের মায়ায় এসব ধান রোপণ করেন তারা।

রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, হাওড় পাড়ের ঘাগটিবিল ও গোয়ালী বিলের পাশে দুই থেকে আড়াই'শ কিয়ার আমন চাষাবাদ হয়েছিল। ৭০-৮০ শতাশ জমির ধান ইঁদুর কেটে শেষ করেছে। ধান চাষাবাদে বর্তমানে ইঁদুর ও কচুরিপানা একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার মৌলভীবাজার জেলায় এক লাখ এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৪০০ হেক্টর। সব মিলিয়ে জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২৮০ হেক্টর বেশি জমি আবাদ হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে