মানিকগঞ্জে কমেছে ঢাক-ঢোলের চাহিদা

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে ২২ অক্টোবর থেকে। দুর্গাপূজা উদযাপনে ঢাক-ঢোলের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে অপরিহার্য বিবেচিত হয়ে আসছে। এই বাদ্যযন্ত্র তৈরির কাজে মানিকগঞ্জের ৭ উপজেলার ৬ শতাধিক পরিবারের লোকজন এ সময় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার ঢাক-ঢোলের চাহিদা কমে গেছে। তাই অর্থনৈতিকভাবে চরম বেকায়দায় আছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত লোকজন। জানা গেছে, জেলা সদর, ঘিওর, দৌলতপুর, সিংগাইর, সাটুরিয়া, হরিরামপুর, শিবালয়ে এ পেশার সঙ্গে জড়িত লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আতঙ্কের মধ্যেও ঢাক-ঢোল, তবলা, কংগো, খোল, দোতারা, হারমোনিয়ামের মতো বাদ্যযন্ত্র তৈরি করছেন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় এ সমস্ত বাদ্যযন্ত্র। স্বাধীনতার পরে সারাদেশে ঢাক-ঢোল, শঙ্খ বাঁজিয়ে বিভিন্ন ধরনের পূজা করা হতো। ৯০-এর দশকের দিকে সাউন্ড সিস্টেম চালু হবার পরে শিল্পটির কদর কমে যায়। ঢাকা, গাজীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জসহ প্রায় ১০টি জেলায় বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে বিক্রয় করা হতো। কিন্তু আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং সাউন্ড সিস্টেমের কারণে সারা বছর বেচাকেনা কমে যায়। তাদের তৈরি বাদ্যযন্ত্র আর বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে না। ফলে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত লোকজন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে এ পেশার লোকজন জানিয়েছেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল মান্নান জানান, সরকারিভাবে এ পেশার লোকজনের তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হবে। সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।