সিঙ্গাইর-সিরাজপুর সড়ক

কার্যাদেশের পাঁচ মাসেও শুরু হয়নি উন্নয়নকাজ

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

মোবারক হোসেন, সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ)
কার্যাদেশ পাওয়ার পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর-সিরাজপুর সড়কের প্রশস্ত ও মেরামতের কাজ শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ শুরু নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস (এলজিইডি) ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের মধ্যে চলছে চিঠি চালাচালি। এমতাবস্থায় সড়কের উন্নয়ন কাজ আদৌ শুরু হবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ভাঙাচোরা সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। দ্রম্নত সড়কটির উন্নয়নকাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছে তারা। জানা গেছে, দক্ষিণ মানিকগঞ্জবাসীর জেলাশহর ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সিঙ্গাইর-সিরাজপুর সড়ক। খানাখন্দক সৃষ্টি ও পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে ৩-৪ বছর আগে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৯ কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্ত ও মেরামাতের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠায় উপজেলা প্রকৌশলী অফিস (এলজিইডি)। ওই বছরের নভেম্বর মাসে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পান ডলি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি আদেশে ২৬ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দেশের সব উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। এ কারণে চুক্তিপত্র অনুযায়ী যথাসময়ে সড়কটির কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। ১৫ মে'র পর কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপর প্রকল্পটি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য গত ২৪ জুন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সাইড বুঝিয়ে না দেওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মাদ রুবাইয়াত জামান বলেন, কাজ পাওয়ার পর থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইড বুঝে না নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু নিয়ে নানা টালবাহানা করে আসছে। পরপর তিনবার তাগিদপত্র দেওয়া হলেও ঠিকাদার কোনোকিছুর তোয়াক্কা করছেন না। এমনকি এসব চিঠিরও কোনো জবাব দেয়নি ঠিকাদার। কাজটি ফেলে রাখার কারণে উন্নয়নের সুফল হতে বঞ্চিত হচ্ছে জনসাধারণ। \হএখন পিপিআর-২০০৮ এর চুক্তির ধারা মোতাবেক প্রকল্পের চুক্তিপত্র বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।