দূর্বাঘাসের শিশির-ভেজা হিমের ছোঁয়া বলে
হাঁড়কাঁপানো শীতের বুড়ি দুয়ারে এলো চলে।
মাঠের পাকা ধান সোনালি কী অপরূপ ছবি
কুয়াশারই পেলব ছোঁয়ায় ওঠে ভোরের রবি।
দরাজকণ্ঠে রাখালিয়া গান ধরেছে আনমনে
মুখরিত গানের পাখি দূরের ঘন-শালবনে।
কিষাণ-বধূর চোখে এলো খুশির নাচন ফিরে
পিঠা-পায়েস নবান্নেরই উৎসবকে ঘিরে।
খুশবু তারই বিলিয়ে দিচ্ছে গোলাপ গন্ধরাজ
কী মনোহর হেমন্তেরই শিউলি ফুলের সাজ।
সৃষ্টির পর্দা সরিয়ে দেখায় তার অনুপম রূপ
ছন্দের দোলায় নিমগ্ন কবি থাকে না নিশ্চুপ।