বলছি শুনিস- সুইয়ের কথা শুনলে বেহুঁশ তবে!
সুই যে জিনিস তার প্রচলন কখন এবং কবে?
পঁচিশ হাজার বছর আগেই সুইয়ের দেখা মেলে
গ্রাভেটিয়ান সভ্যতাতে সুই-সুতোরা খেলে!
মাছের কাটা, হাতির দাঁতে সুই হতো সব তৈরি
সুইয়ের ফুটো ছিল সাথে হুক ছিল না বৈরী।
কাঠের সুইও ছিল তখন মোটা এবং ভারী
সভ্যতার এই বিবর্তনে সুই ছিল দরকারি।
ব্রোঞ্জ যুগে ভাই এগোয় যখন ধাতুর ব্যবহারে-
হরেক রকম ছোট-বড়ো সুই এসে যায় দ্বারে।
তখন গ্রিসে দীর্ঘ পোশাক পরতো নারীকুলে
বড়ো সুইয়ের সেলাই হতো সেই পোশাকের ঝুলে।
রোমানরা সব লৌহ যুগে লৌহ-হাতির দাঁতে
সুই বানিয়ে সূচিশিল্পের আবিষ্কারে মাতে।
তখন রুপার তৈরি সুইও রাজকীয় কাজে
হয় ব্যবহার সেসব আছে ইতিহাসের ভাজে।
সুই খুবই এক তুচ্ছ তবু শিল্প প্রাচীনতম
সুইসুতোতে বাঁধা আছে সভ্যতারই দমও!
ধারণা এই চলিস্নশ হাজার বছর আগে-পরে
প্যালি-লিথিক সময়ে লোক সুই ব্যবহার করে।
সবার আগে আরবে হয় সুই দিয়ে সার্জারি
করে দেখান চিকিৎসকে এখনো সার জারি।
বরফ যুগে চামড়া সেলাই সুই-সুতোতেই হতো
সুইয়ের ইতিহাসে আছে ম্যাজিক অবিরত।
ধ্রম্নপদী যুগ-গুপ্ত আমল সুই-সুতোতে গড়া
পরতো পোশাক মহিলারা নকশাসেলাই করা।
প্রাচীন মিশরীয় কিংবা রোমান সভ্যতাতে
সুইয়ের ইতিহাসের অংশ নানারঙে মাতে।
আরব-ভারত হয়ে পশ্চিম শৈল্য চিকিৎসাতে
নতুন নতুন উদ্ভাবনের বিকাশ ঘটায় তাতে।
সুই সাধারণ ব্যাপ্তি অনেক যুগ ও যুগান্তরে-
নীরবে তার কাজ করে যায় ইতিহাসের ঘরে।