একটি লিখা লিখব বলে
কলম নিলাম যেই,
আকাশ এসে বলল হেসে
চোখের পলকেই-
তোমার লেখায় থাকতে আমি চাই
আর তো চাওয়া নাই।
বাতাস বলে, আমিও তো
আকাশটাকে ছুঁয়ে,
তোমার লেখায় থাকব মিলে দুয়ে।
প্রজাপতি উড়ল রঙিন পাখায়,
বলল, তোমার মিষ্টি লেখা-আঁকায়-
আমার রঙের একটু ছোঁয়া নিও,
এইটুকু স্থান দিও।
ভোরের শিশির উঠল হেসে ফিক্-
আমায় ছাড়া তোমার লেখা
জমবে কি ঠিক ঠিক?
শিমুল-পলাশ-কৃষ্ণচূড়া, বনের যত ফুল
আসল হেসে, আসল নদীর কূল।
পাহাড় এলো, ঝর্না এলো, সাগর এলো ছুটে,
কামার-কুমোর-কৃষাণ-মজুর
জেলে-তাঁতি-মুটে,
বলল সবে, আমরা যদি দূরেই থাকি তবে;
কেমন করে তোমার লেখা হবে!
সোনালি ধান, সবুজ-শ্যামল মাঠ
আসল ফিরে হারানো সেই পদ্মদিঘির ঘাট।
গান শুনিয়ে গানের পাখি যত,
দলে দলে আসল শত শত।
আসল এবং বলল কানে কানে-
আমরাও চাই তোমার লেখায় থাকতে
কালির টানে।
গোধূলি রঙ্, তারার মেলা, চাঁদের হাসি, ভোর,
আসল খুলে দোর।
বললো সবে, একটু রেখ
তোমার লেখার কোণে;
এই কথাটি শুনে-
সূর্য বলে, আমিও আছি, কী লিখেছ কবি?
চেয়ে দেখি এই লেখাটি, বাংলাদেশের ছবি।